ফুটবল বিশ্বকাপে জয় ছাড়া আর কিছুই ইংল্যান্ড দল কিংবা দেশকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের এই তারকা স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, বড় টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো খেললেও এখন সময় এসেছে চূড়ান্ত সাফল্যের।
২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার পর থেকে বড় আসরগুলোতে নিয়মিত ভালো করছে ইংল্যান্ড। তবে ১৯৬৬ সালের পর এখনো বড় কোনো শিরোপা আসেনি তাদের ঘরে।
গত বছর ইউরো ২০২৪–এর ফাইনালে হারের হতাশা এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছে কেইনকে। তার মতে, শিরোপা না জিতলে ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে থাকা ‘নেতিবাচক আওয়াজ’ থামবে না।
কেইন বলেন, ‘আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে আছি, যেখানে জয় ছাড়া আর কিছুই আমাদের কিংবা দেশের মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। গত ইউরোতে আমরা সেটা কিছুটা বুঝেছি।
ফাইনালে উঠেও আমাদের ঘিরে নেতিবাচক আলোচনা ছিল। আমরা জানতাম, জিততে না পারলে এই শব্দ থামবে না, আর সেটাই হয়েছে।’
গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ডের অগ্রযাত্রার কথাও তুলে ধরেন কেইন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, এরপর ফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল, আবার ফাইনাল—আমরা বারবার দরজায় কড়া নাড়ছি।
ধারাবাহিকভাবে আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। এবার টুর্নামেন্টে যাওয়ার সময় প্রত্যাশাটাও বড়। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমরা চার নম্বরে, মানুষ আমাদের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে দেখছে। এই চাপ মেনেই খেলতে হবে।’
ইংল্যান্ড অধিনায়ক আরো বলেন, ‘গত আট বছরে জাতীয় দল হিসেবে আমাদের অনেক ভালো মুহূর্ত এসেছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার কাছে এখন একটাই বিষয় গুরুত্বপূর্ণ—জেতা, বড় শিরোপা জেতা। আমাদের সেই মান আছে, এখন দরকার বড় মুহূর্তগুলো সামলানোর মানসিকতা।’
বড় টুর্নামেন্টের চাপ ও রোমাঞ্চ নিয়েও কথা বলেছেন কেইন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো বড় টুর্নামেন্ট একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়। চাপ আর উত্তেজনাও তখন সর্বোচ্চ থাকে। আমি নিজেকে সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাই, দল কীভাবে সামলায়—সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া যে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সম্মান, সেটাও আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন কেইন। ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ২৪ বছর বয়সেই প্রথমবার ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হন।
কেইন বলেন, ‘অনেক সময় ভেতরে থাকলে বোঝা যায় না আপনি কত বড় দায়িত্ব পালন করছেন বা কতটা কম বয়সে সেটা শুরু করেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা ছিল স্বপ্ন, কিন্তু ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হওয়াই ছিল ক্যারিয়ারের চূড়া। ছোটবেলা থেকেই আমি ইংল্যান্ডের বড় ভক্ত ছিলাম, ক্লাবের চেয়েও বেশি। এই দায়িত্ব আমি কখনোই হালকাভাবে নিই না, এর গুরুত্ব আমি ভালো করেই জানি।’
এবি/টিকে