গত গ্রীষ্মে ব্রুনো ফার্নান্দেজের জন্য বড় অঙ্কের টোপ ফেলেছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়কের জন্য সপ্তাহে প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিয়েছিল ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি সে চুক্তি। মূল ম্যান ইউনাইটেড ছাড়ার ইচ্ছা দেখাননি তিনি ব্রুনো।
২০২৪ সালের আগস্টে ক্লাবের সাথে নতুন চুক্তি করেন ব্রুনো। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকবেন, যা আরও এক বছর (২০২৮ পর্যন্ত) বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন ব্রুনো। মাঠের ভেতরে ইউনাইটেডের নানা সংকট থাকলেও, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল ক্যানাল ১১-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রুনো জানান, ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি ইউনাইটেড ছাড়তে চাননি। যদিও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল, তবু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ৫টি গোল ও ৭ গোল করতে সহায়তা (অ্যাসিস্ট) করেছেন ব্রনো। ক্লাবের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্দিনান্ডের সঙ্গে এক আলাপেও নিজের আনুগত্যের কথা স্পষ্ট করেন।
‘রিও ফার্দিনান্ড প্রেজেন্টস’ পডকাস্টে ব্রনো বলেন,
‘আগে ফুটবলে আনুগত্য মানে ছিল রোমায় তোত্তি, ইউনাইটেডে গিগস, মিলানে মালদিনি। আমি যখন এখানে আসি, ক্লাবটাকে ভালোবেসেই এসেছি। সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতেই আমার আনুগত্য ছিল। আমি দুবার ক্লাব ছাড়তে পারতাম, কিন্তু সেটা করিনি।’
ব্রুনো আরও বলেন,
‘ক্লাব বলেছিল, আমাদের তোমাকে দরকার। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে। তোমরা আমাকে কিছু দিয়েছ। আমি তোমাদের কিছু দেব।’
প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোববার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নামবে রেড ডেভিলসরা।
পিএ/টিএ