হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিগত কয়েক দিনের তুলনায় আরও বেশি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অর্থাৎ তিনি ভালো আছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে আজকে (গতকাল) পর্যন্ত প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আলহামদুলিল্লাহ, উনার শারীরিক অবস্থা আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে। আজকেও (গতকাল) উনার একটা ছোট প্রসিডিউর করা হয়েছে ওটিতে নিয়ে। অত্যন্ত সফলভাবে উনি সেটি গ্রহণ করতে পেরেছেন। অর্থাৎ প্রসিডিউরটা সুন্দরভাবে করা হয়েছে। সিসিইউতে যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, ওখানে উনি আইসিইউর ব্যবস্থা সংবলিত কেবিনে চিকিৎসাধীন।’
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান, শামীম ইসকান্দারসহ পরিবারের সবার পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। যেমনিভাবে বেগম খালেদা জিয়া দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড, সে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা উনি নিতে পারছেন। সেটি যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনাকে অব্যাহত রাখার তৌফিক দান করেন। এখনকার যে অবস্থা আছে, এই অবস্থা যাতে আরও সুস্থতার দিকে উনাকে নিয়ে যেতে পারেন, সেই দোয়া চাই।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, ‘এটুকুই বলব যে, উনি যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থার তুলনায় আজকে (গতকাল) আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবার দোয়ায় মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে আগের চেয়ে অনেকটা বেশি উনার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। উনার সার্বিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই আপনাদের (উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছি। একটি বলেছি, আলহামদুলিল্লাহ; দ্বিতীয়টি বলেছি যে, উনার শরীরের ওপর একটা প্রসিডিউর করা হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে উনি গ্রহণ করতে পেরেছেন এবং এই মুহূর্তে উনার অবস্থা স্থীতিশীল আছে। অর্থাৎ উনার অবস্থার অবনতি ঘটেনি।’