গণমাধ্যম নিয়ে সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারির বক্তব্য ব্যক্তিগত, অনিচ্ছাকৃত এবং 'স্লিপ অব টাং' বলে জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
এটি ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয় বলেও জানিয়েছে তারা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ তথ্য জানান।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘প্রথম আলো’-এর কার্যালয়ে সংঘটিত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তারা।
সম্প্রতি ১৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ 'সুশীল' পত্রিকা বন্ধ করার ঘোষণা দেন।
পরদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে বলে জানান। তাতেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যান্য সংগঠনসহ শিক্ষার্থীরা এসব বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তবে ছাত্রশিবির বিবৃতিতে বলছে, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ও রাকসু ভিপি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারির ব্যক্তিগত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজ নিজ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন এবং বক্তব্যের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাং’-এর বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এতে বলা হয়, এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সাঙ্গে ছাত্রশিবির কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এই ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।
বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত দাবি করেন ছাত্রশিবির নেতারা। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইউটি/টিএ