দীর্ঘ সতেরো বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ‘মাইনাস ফর্মুলা’ নস্যাৎ করে দিয়ে তারেক রহমান ফিরছেন বীরের বেশে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্থায়ী জায়গা পেতে যাচ্ছে।
নাছির উদ্দীন নাছির তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকার শহীদ জিয়ার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে নীল নকশা করেছিল, তার অংশ হিসেবেই ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় তার ওপর চালানো হয়েছিল অমানুষিক নির্যাতন, যা ছিল মূলত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপরই এক নারকীয় আঘাত।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে লন্ডনে যেতে হয়েছিল দেশনায়ক তারেক রহমানকে৷ কিন্তু এরপরও মামলার খড়্গ থামেনি৷ ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক শাসনামলে ১৩টি ও পরবর্তী আওয়ামী শাসনামলে ৭২টি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে৷ আদালতকে ব্যবহার করে পাঁচটি মামলায় ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজাও দেওয়া হয়৷ শুধু তা-ই না, আদালতকে ব্যবহার করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল৷
নির্বাসিত জীবনেও তারেক রহমান ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে গেছেন বলে জানান ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের যুক্ত রেখে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তিনি নিরবচ্ছিন্ন নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।
সর্বশেষ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তার অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে নাছির বলেন, তারেক রহমান এখন দেশের মানুষের কাছে এক ‘আশার বাতিঘর’। মানুষ বিশ্বাস করে, তার ফেরার মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে স্থিতিশীলতার দিকে যাত্রা শুরু করবে।
এদিকে আগামীকাল ঢাকার জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে উন্মুখ হয়ে আছে কোটি জনতা। ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তার পোস্টে দাবি করেন, যারা একসময় উপহাস করে তাকে দেশে ফেরার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল, তারা আজ জনরোষের মুখে দেশ থেকে বিতাড়িত। তিনি একে ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’ বা প্রকৃতির বিচার হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার মতে, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন কেবল এক নেতার ফেরা নয়, বরং সুস্থির ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার এক নতুন মোমেন্টাম।
টিজে/টিএ