২০২৪ সালের মে মাসের পর দেশে ফেরেননি সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি। দেশে না থাকলেও একটি হত্যা মামলার এফআইআরে তার নাম আসে। এরপর তিনি পাকিস্তান ও ভারতে গিয়ে টেস্ট খেলেন। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টই সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ এই অলরাউন্ডারের।
সম্প্রতি ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামে এক পডকাস্টে সাকিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে এখনো খেলার আশা করেন তিনি। এমনকি টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে গত বছরের অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। অর্থাৎ জাতীয় দলের হয়ে তিন সংস্করণেই খেলতে চান তিনি। অথচ এক বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হয়ে সাকিবের খেলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির পরিচালক আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, 'সাকিবের ফিটনেস এবং বর্তমান ফর্মের কথা বিবেচনা করলে আমার মনে হয় তিনি আরও অনেক বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন কি না, সেটি সম্পূর্ণ নির্বাচক কমিটির বিষয়। নির্বাচক কমিটি যখন যাকে প্রয়োজন মনে করবে, তাকেই দলে নেবে।'
তবে সাকিবের ফেরা অনেকটাই নির্ভর করছে তার ফর্ম ও ফিটনেসের ওপর বলে মনে করেন আমজাদ। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নির্বাচনের জন্য লভ্য নন বা দেশে নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি তিনি ফিরে আসেন... তার ফিটনেস ও ফর্ম ঠিক থাকে, তবে তিনি অনেক বছর খেলতে পারবেন এবং আমরাও হয়ত তার খেলা দেখতে আগ্রহী।'
তবে আমজাদ মনে করেন, ক্রিকেট রাজনীতির বাইরে থাকবে সবসময়। তিনি বলেন, 'ক্রিকেট দল-মত নির্বিশেষে সবার খেলা। বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছে কারণ এটি রাজনৈতিক পরিচয়হীন এবং নিরপেক্ষ। আমি বিশ্বাস করি সবাই ক্রিকেটের উন্নতির জন্য অবদান রাখবেন। আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় এখানে এসেছি এবং তিনি চাইলে ভবিষ্যতেও থাকব।'
এর আগে, পডকাস্টে বাংলাদেশে ফিরবেন কিনা—এমন প্রশ্নে সাকিব বলেছিলেন, ‘আশাবাদী। তাই তো খেলছি (টি–টোয়েন্টি লিগগুলোতে)। আমি মনে করি এটা সম্ভব হবে।’ বর্তমানে এমআই এমিরেটসের হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি২০) খেলছেন তিনি। এখন তাকে জাতীয় দলে আবারও দেখা যাবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
এমকে/এসএন