চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। বেপরোয়া গতি ও নৌ-চলাচল বিধি অমান্য করার অভিযোগে দুই লঞ্চের মাস্টার ও ড্রাইভারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনেকে আসামি করা হয়ছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯। অন্যদিকে ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমভি জাকির সম্রাট-৩। রাত ২টার দিকে হাইমচরের মাঝেরচর এলাকায় পৌঁছলে ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, ঘন কুয়াশায় নৌ-চলাচল বন্ধ বা নোঙর করে রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও চালকরা তা অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন। এমনকি দুর্ঘটনার পর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই লঞ্চ দুটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ৪ স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ। লঞ্চ দুটির সময়সূচি ও পারমিট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মেরিন কোর্টেও আলাদা মামলা করা হয়েছে।
হাইমচর থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, নৌ-নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।