গায়ক মনির খান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অঝোরে কেঁদেছেন এই শিল্পী। শোক প্রকাশ করে কাঁদতে কাঁদতে মনির খান বলেন, ‘এমন এক নেত্রীকে আমরা হারিয়েছি, যার মৃত্যুতে আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ কাঁদছে। তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকসহ সব সংকটে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মনির খান বলেন, ‘ভিন্ন মত বা ভিন্ন ধর্মের মানুষ-কারো ক্ষেত্রেই তিনি কখনো বৈষম্য করেননি। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথাই ভেবেছেন। দেশ ও মানুষের জন্য নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন। কতবার অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।
দেশের বাইরে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি কখনো যেতে চাননি। সব সময় দেশের মাটি ও দেশের মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, শেষবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, তার মৃত্যু যেন দেশের মাটিতেই হয়, জানাজা ও দাফন যেন এই মাটিতেই সম্পন্ন হয়।
আজ আমার মতো সারা দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে আছে। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শোক সহ্য করার শক্তি দান করুন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধৈর্য দান করুন।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে ৮০ বছর বয়সে বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
আরআই/টিএ