মৃত্যুঝুঁকি কমাবে আঁশযুক্ত খাবার

কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে আঁশযুক্ত খাবার।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের অধিকাংশই পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার খাই না। অথচ একটু পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলে সহজেই মরণব্যাধি রোগসমূহ প্রতিরোধ করা যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খায়, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগ ও মৃত্যুঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কম।
সম্প্রতি ল্যান্সেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

নিউজিল্যান্ডের অটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. অ্যান্ড্রু রেনল্ডস বলেন, দানাদার শস্য, বীজকণা ও শিম জাতীয় শস্যসহ উদ্ভিদ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। গত একশ বছরে বিভিন্ন গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আঁশ জাতীয় খাবারে ব্যাপক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

তিনি বলেন, আঁশযুক্ত খাবার হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যহারে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করতে ভূমিকা রাখে আঁশযুক্ত খাবার।

অটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিম মিন বলেন, নতুন এই গবেষণায় ১৮০টি পর্যবেক্ষণমূলক পরীক্ষা ও ৫০টি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে আঁশ জাতীয় খাবারের যে উপকারিতা জানা গেছে, তা পূর্বের ধারণার চেয়েও বেশি বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আঁশজাতীয় খাবার খায় তাদের মৃত্যু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ১৫-৩০ শতাংশ কম। কারণ উচ্চ আঁশজাতীয় খাবারে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২২ শতাংশ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ এবং করোনারি হার্ট ডিসিসের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ হ্রাস করে।

অধ্যাপক মিন বলেন, প্রতিদিন অন্তত ২৫-২৯ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত হলেও বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ লোকই গড়ে ২০ গ্রাম বা তার কম আঁশযুক্ত খাবার খায়। এজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার যেমন- শিম, ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি, সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় এই প্রতিবেদনে।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: