কোভিড-১৯ রোগের প্রথম স্বীকৃত ওষুধ হতে পারে রেমডিসিভির

অবশেষে গবেষকদের কাছ থেকে সুখবর আসতে শুরু করেছে। নতুন প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, রেমডিসিভির নামক একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হতে চলেছে কোভিড-১৯ রোগটির বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো ওষুধ।

যুক্তরাষ্ট্রে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, রেমডিসিভির ওষুধটি করোনা রোগীদেরকে মাত্র ১১দিনেই সুস্থ করে তুলতে বেশ কার্যকর। তবে গবেষণালব্ধ সব তথ্য এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধটির ফলাফল আশা জাগানো হলেও এর থেকে জাদুকরী সমাধান পাওয়া যাবে না। কিন্তু এর ফলে বহু লোকের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে, সম্ভব হবে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন শিথিল করাও।

রেমডিসিভির ওষুধটি মূলত ইবোলার চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি আদতে একটি অ্যান্টিভাইরাল। এটি এমন একটি অ্যানজাইমকে আক্রমণ করে, যা আমাদের কোষের ভিতরে একটি ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরি করতে প্রয়োজনীয়। অ্যানজাইমটি ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে এটি ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সক্ষম।

মার্কিন যুক্তরাষ্টের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এখনও কোনো ওষুধ অনুমোদন করেনি। তবে তারা জরুরি ব্যবহারের জন্য রেমডিসিভির অনুমোদন করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন ও নিউ ইয়োর্ক টাইমস।

সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগী রেমডিসিভির গ্রহণ করেছেন তারা অন্য রোগীদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সময় ১৫ দিন থেকে কমিয়ে ১১ দিনে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার ড্রাগ টামিফ্লু ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীদের উপর যে প্রভাব ফেলে এটি তার অনুরূপ। টামিফ্লুও রোগীদের দ্রুত নিরাময় করে না, তবে অসুস্থতার সময় হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে, রেমডিসিভির রোগীদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস করতে সক্ষম।

কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে পরীক্ষিত বেশ কয়েকটি ওষুধের মধ্যে রেমডিসিভির অন্যতম। এফডিএর অনুমোদনের লক্ষ্য নিয়ে নিয়ম অনুসারে এর প্রথম এনআইএআইডি ট্রায়াল হয়। প্রায় এক হাজার ৯০ জন আন্তর্জাতিকভাবে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন জানিয়েছে যে, বুধবার প্রকাশিত রেমডিসিভির পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এখনি মন্তব্য করা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ ও সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বচ্ছতার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির Jul 02, 2025
img
দলীয় প্রতীক শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন নাগরিক ঐক্যের Jul 02, 2025
img
২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭ Jul 02, 2025
img
শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 02, 2025
img
সব কিছুতে ঐকমত্য হয়ে যাওয়াটা বাস্তবসম্মত সম্ভব নয়: জোনায়েদ সাকি Jul 02, 2025
img
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত Jul 02, 2025
img
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করল বৈষম্যবিরোধীরা Jul 02, 2025
img
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা Jul 02, 2025
img
প্রাক্তনকে ভুলে এবার বীরের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু তারা সুতারিয়ার Jul 02, 2025
img
শেফালির মৃত্যুর পরও ৭৭ বছর বয়সেও ফিলারে ভরসা মুমতাজের Jul 02, 2025
img
নতুন মামলায় গ্রেফতার আনিসুল-সালমান-দীপু মনি Jul 02, 2025
img
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির সাবেক তিন কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ Jul 02, 2025
img
আমি ফাতিমার বাবা নই, না বয়ফ্রেন্ড : আমির খান Jul 02, 2025
img
কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন অভিষিক্ত তানভীর Jul 02, 2025
img
গণমাধ্যমের নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় জাতিসংঘকে সহায়তার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 02, 2025
img
পদ্মার এক বাঘাইড় বিক্রি সাড়ে ৪৩ হাজার টাকায় Jul 02, 2025
img
ফের পেছাল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন Jul 02, 2025