যখন আমাদের সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়, তখন সেটি মোকাবেলা করার জন্য আমরা অনেক রকম কৌশল অবলম্বন করে থাকি। সব জটিলতা যেমন এক নয় তেমনি সেগুলি নিরসনের পদ্ধতিগুলিও ভিন্ন ভিন্ন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি হয়তো সমস্যা সমাধানে বেশ পটু। কোনো চ্যালেঞ্জ বা মানসিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আপনি হয়তো সহজেই উতরে যান। কিন্তু এমনও হতে পারে বিশেষ একটি জটিলতা আপনি সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
যেসব বিশেষ সমস্যার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আমাদের হাতে থাকে না সেসব অনিশ্চিত সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা বেশ শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তবে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরী একটি বিষয়।
আসুন জেনে নিই, অনিশ্চিত সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণের কিছু কৌশল
মেডিটেশন
মেডিটেশন আমদেরকে আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আমাদেরকে অনিয়ন্ত্রিত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। মেডিটেশনের অন্যতম একটি উপায় হলো মাইন্ডফুলনেশ অনুশীলন করা। আপনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়ে মাইন্ডফুলনেশ প্র্যাকটিস করতে পারেন। এটি প্রথম দিকে বেশ কঠিন এবং কোনো কাজে আসছেনা মনে হলেও ধীরে ধীরে এর সুফল অনুভব করতে শুরু করবেন।
জার্নালিং
চ্যালেঞ্জিং আবেগ সমূহ নিয়ন্ত্রণের জন্য জার্নালিং একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনার অনুভূতিগুলি লিখে রাখুন, তা যতই অগোছালো বা জটিল হোক না কেন। জার্নালিং এক ধরণের সংবেদনশীল ক্যাথারসিস সরবরাহ করে, অর্থাৎ এর মধ্য দিয়ে আপনি আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগ, অপরাধবোধ প্রভৃতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ইতিবাচক চিন্তা
শুধু আশাবাদ বা ইতিবাচক চিন্তার দ্বারা কোনো সমস্যার সমাধান হয় না, তবে এটি আপনার মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
ক্ষমাশীলতা
হিংসা বা প্রতিশোধমূলক মনোভাব পোষণ করা সহজ। কিন্তু ক্ষমাশীলতা তুলনামূলকভাবে কঠিন। তবে, ক্ষমা করার ক্ষমতা আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে। অন্যদিকে, প্রতিশোধ পরায়ণতায় আপনি মানসিক অশান্তিতে ভুগবেন। তাই ক্ষমা করার অভ্যাস করে তুলুন।
পুনর্বিবেচনা
আপনি যখন কোনো পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করেন, তখন আপনি এটিকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেষ্টা করে থাকেন। এটি আপনাকে পরিস্থিতির বৃহত্তর চিত্র বুঝতে সহায়তা করবে।
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একটি পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আপনি এটি নিয়ন্ত্রণের উপায় পেয়ে যেতে পারেন। আর কিছু না হলেও এটি আপনাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
সমস্যার কথা আলোচনা করুন
জোর কর নেতিবাচক আবেগ দমন করলে কোনো ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায় না। সাময়িকভাবে এটি আপনার আবেগ ঢেকে রাখতে সক্ষম হলেও এর ফলে আপনার মেজাজ খারাপ, মন খারাপ, পেশী বা মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আপনি বরং পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত অন্য যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে আপনার অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলতে পারেন। এছাড়াও আপনি বিশ্বস্ত প্রিয়জনের সঙ্গে আপনার সমস্যার কথা আলোচনা করতে পারেন। এটি আপনাকে মন হালকা করতে সহায়তা করবে এবং মাত্রাতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তথ্যসূত্র:হেলথলাইন
টাইমস/এনজে/জিএস