মাস্ক ব্যবহার ‘ট্রেন্ড’ বানাতে যুক্তরাষ্ট্রে সেলিব্রেটিদের জোর প্রচারণা

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস করোনা বা যেকোনো বায়ুবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। তবে মাস্ক পরিধান করা মানে শুধু নিজেকে রক্ষা করা নয়, একই সঙ্গে আমাদের পরিবার-পরিজন ও পরিবারকে রক্ষা করতেও এটি পরোক্ষভাবে সহায়তা করে।

কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মাস্ক ব্যবহার প্রতিটি সচেতন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ঘরে তৈরি দুই পরত সুতি কাপড়ের মাস্কও আপনাকে অনেকটা নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। তবে অনেকেই আছেন যারা এই বিষয়টিকে এখনও অবহেলা করে চলেছেন।

তাই মাস্ক ব্যবহারকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেন্ডে পরিণত করতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে প্যান্ডেমিক অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামক একটি আমেরিকান সংস্থা। এই উদ্দেশ্যে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক জোরদার প্রচারণা শুরু করে।

আমেরিকান সংগীত শিল্পী ও অভিনেত্রী ইভ জেহান জেফার Maskforafriend হ্যাস ট্যাগ দিয়ে ইন্সটাগ্রামে নিজের ছবি আপলোড করে এর সূচনা করেন।

ইতিমধ্যে আমেরিকান বিজ্ঞানী ও অভিনেত্রী মিয়াম বিয়ালিক, অভিনেতা ম্যাট ম্যাক গোরী, অভিনেত্রী সোফিয়া বুশসহ অনেকেই মাস্ক পরিহিত ছবি ও ভিডিও আপলোড করে এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর লানা ইভানিৎসকায়া যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক ব্যবহার করা মানুষের সাধারণ অভ্যাসে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার কিছু দেশে মাস্ক পড়া স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এসব দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কারণে বাতাস দূষিত হয়ে গেছে এবং সার্স ভাইরাসের মতো মহামারী সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা আছে, যা তাদের এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে প্রভাবিত করেছে।”

এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সচেতনতাও এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে তাদের সহায়তা করেছে বলে মনে করেন তিনি।

মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা ইউনিভার্সিটির হসপিটাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন কেনেডি বলেন, “মাস্ক ব্যবহার ড্রপলেট থেকে ছড়ানো অন্যান্য সংক্রমণ রোগ যেমন ফ্লু, হুপিং কাশি, নিউমোনিয়া প্রভৃতির হাত থেকেও আমাদেরকে নিরাপদে রাখে।”

এই প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে জন সমাগম হয় এমন স্থানে সব সময় মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুললে তা আমাদেরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে এই অভ্যাস ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মতো প্রাণঘাতী রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধ করতে বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে কাজে দেবে। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ