ঘাম ও অস্বস্তিকর গরম। গ্রীষ্মের এমন আচরণে এসি ছাড়া থাকা অনেকের পক্ষেই দুর্বিসহ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এসি ব্যবহারেও নানা বিধিনিয়ম আরোপ হয়েছে। তবু গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসি চালানোর প্রবণতা। এদিকে এসি চালিয়ে রাখায় চাপ পড়ছে পকেটে। সঙ্গে ঠান্ডা লেগে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। করোনা সংক্রমণের স্থায়ী ভয় তো রয়েছেই।
যখন এসি-র উদ্ভাবন হয়নি তখনও গরমের সময় মানুষ নানা উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখতেন। চলুন সেসব ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই, যা মানলে এসি ছাড়াই আপনার ঘর থাকবে ঠান্ডা। এতে ইলেকট্রিক বিলের পরিমাণও অনেক কম হবে। তাছাড়া মহামারী করোনাভাইরাসের ঝুঁকিও কমবে।
জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন: দিনের বেলায় ঘড়ির কাঁটা এগারোটা ছাড়ালেই ঘরের জানালা বন্ধ করে দিন। সঙ্গে পর্দা টেনে পাখা চালিয়ে রাখুন। ঘরে তাপ কম ঢুকতে দিলেই আরাম পাবেন। বিকেলের দিকে জানালা খুলে দিন। এতে বিকেলের ঠান্ডা হাওয়া ঘরে ঢুকতে পারবে।
খসখসের পর্দা: খসখসের পর্দা ব্যবহারের চল আগেও ছিল। ঘরের তাপ কমাতে এই ধরনের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। জানালায় খসের পর্দা টাঙিয়ে রাখুন। মাঝেমধ্যেই তাকে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিন। ঘর থাকবে অনেক ঠান্ডা ও আরামদায়ক।
গাছ থাকুক ঘরে: ঘরের মধ্যে ছোট টবে সবুজ বাহারি গাছ রাখতে পারেন। এতে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে, সঙ্গে গাছের উপস্থিতিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কম ওয়াটের আলো: দরকার ছাড়া বেশি ক্ষমতাযুক্ত আলো জ্বালাবেন না ঘরে। কম ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। টিউব বা বাল্বের গা থেকে তাপ বিকিরণের ফলেও ঘর কিছুটা গরম হয়। কম ওয়াটের বাল্বে সে সুযোগ কম থাকে।
পানিতে লবণ মেশান: যখন ঘর মোছেন, তখন ঘর মোছার জীবাণুনাশক তরলের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। লবণপানির তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে মেঝে থেকে উঠে আসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।
হালকা রঙের পর্দা: ঘরে ব্যবহার করুন হালকা রঙের পর্দা। হালকা রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। তাই হালকা রঙের পর্দায় বাইরের তাপ কম শোষিত হয়। ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে হালকা রঙের পর্দা। সুতির বা লিনেনের মতো প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিকের পর্দা এবং বেড শিট ব্যবহার করুন। এই ধরনের পর্দা তাপ প্রতিফলিত করবে, তার ফলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।
এগজস্ট ফ্যান: রান্না করার সময় আগুনের তাপে ঘর গরম হয়ে যায়। তাই অবশ্যই এগজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন।
টাইমস/জিএস