করোনা প্রতিরোধে স্যানিটাইজার যেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থ

করোনাভাইরাসের মতো শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী ভাইরাসগুলো তখনই ছড়ায় যখন তা চোখ, নাক বা গলার শ্লেষ্মার মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হাতের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। ভাইরাসটি একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমণের প্রধান মাধ্যমও হাত।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায়গুলোর একটি হল ঘনঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া।

ঘরের বাইরে থাকা অবস্থায় হাতের কাছে সাবান ও পানি থাকে না। নির্ভর করতে হবে স্যানিটাইজারের উপর। তবে, সংক্রমণ ঠেকাতে হাত জীবাণুমুক্তকরণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাবান-পানির বিকল্প হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদানে এটি ব্যর্থ হতে পারে।

চলুন জেনে নিই, করোনা প্রতিরোধে স্যানিটাইজার যেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থ

হাত দৃশ্যমান নোংরা হলে: হাতে দৃশ্যমান নোংরা থাকলে স্যানিটাইজারের কার্যকারিতা ব্যর্থ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাবান পানি ব্যবহার করতে হবে।

হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে আসলে: হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ানো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় স্যানিটাইজার ব্যর্থ হতে পারে। কেননা এক্ষেত্রে স্যানিটাইজার আপনার হাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করলেও, কারো হাঁচি-কাশির ক্ষুদ্র কণাগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে স্যানিটাইজারের চেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি।

সঠিক স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা হলে: স্যানিটাইজারের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে। অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ও অ্যালকোহলমুক্ত স্যানিটাইজার। অ্যালকোহলমুক্ত স্যানিটাইজার জীবাণু ধ্বংস অথবা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দমনে কম কার্যকর। তাই অন্তত ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার অন্তত ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস, ফুঙ্গি ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।

সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে: সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে স্যানিটাইজার হাত থেকে জীবাণু দূর করতে পারে না। সঠিক পরিমাণে স্যানিটাইজার নিয়ে উভয় হাতের দুই পৃষ্ঠে প্রয়োগ করে না শুকানো পর্যন্ত ঘষতে থাকুন। এসময় খেয়াল রাখতে হবে আঙুলের ফাঁক, হাতের উপরিতল ও নখ যেন বাদ না পড়ে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হান্নান মাসউদের এটি দ্বিতীয় বিয়ে, ফেসবুক পোস্টে জাওয়াদ নির্ঝর Sep 20, 2025
img
সংবিধান সংশোধন ছাড়া নির্বাচন হলে সেটি হবে প্রহসনের নির্বাচন : বুলবুল Sep 20, 2025
img
৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি পদ্মার ১৬ কেজির রুই মাছ Sep 20, 2025
img
ভারত ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করল পাকিস্তান Sep 20, 2025
img

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দিচ্ছে সরকার Sep 20, 2025
img
ফারিয়া তুমি সত্যিই জিতেছো: পিয়া জান্নাতুল Sep 20, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৮২ Sep 20, 2025
অস্কার প্রতিযোগিতায় ‘হোমবাউন্ড’-এর চমক! Sep 20, 2025
কল্কি ২৮৯৮ এডিতে দীপিকার রহস্যময় ইঙ্গিত! Sep 20, 2025
দ্বিতীয় বরের পরিচয় জানালেন শবনম ফারিয়া Sep 20, 2025
সরকারের অংশ হয়ে কী পেলো তারা? ছাত্র উপদেষ্টাদের বিএনপি নেতার পরামর্শ Sep 20, 2025
‘বিএনপির সমালোচনাকারী’ হিসেবে এনসিপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে যা বললেন মির্জা ফখরুল Sep 20, 2025
img
আগামীতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: আনিসুল Sep 20, 2025
img
ভ্রান্ত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : রিজওয়ানা Sep 20, 2025
img
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যর্থ বললে হবে না : ড. নজরুল ইসলাম Sep 20, 2025
img
দেশে অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান Sep 20, 2025
img
পিতৃত্বকালীন ছুটি বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন সুপারিশ Sep 20, 2025
ডাকসু নির্বাচনে আমাকে ভিলেন বানানো হয়েছে - আবিদ Sep 20, 2025
img
কাজের চেয়ে কথায় বড় হয়ে উঠছেন রশিদ খান! Sep 20, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে : মান্না Sep 20, 2025