রিউম্যাটয়েড আর্থাটিস সাধারণত হাড়ের রোগ হিসেবেই পরিচিত, এর ফলে হাড়ের জয়েন্ট মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগটিকে সিস্টেমেটিক ডিজিজও বলা হয়ে থাকে, অর্থাৎ এটি একইসাথে সারা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু এই রোগটি কি একইসাথে চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে?
রিউম্যাটয়েড আর্থাটিস ও চুল পড়ার সম্পর্ক
রিউম্যাটয়েড আর্থাটিসে ভোগা অনেক রোগীই উপসর্গ হিসেবে চুল পড়ার সম্মুখীন হয়েছেন। আবার রিউম্যাটয়েড আর্থাটিস ট্রিটমেন্টের কারণে অনেকের চুল পড়তে দেখা গেছে। তবে, চুল পড়ার সাথে এই দু’টি ঘটনার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রমাণ খুব কম।
রিউম্যাটয়েড আর্থাটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়লেও তার পরিমাণ খুবই নগণ্য। অন্যদিকে যাদের বংশগতভাবে টাক পড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটির ট্রিটমেন্টে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ দ্রুত চুল পড়া কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে, পুরুষেরা স্থায়ী টাকের শিকার হতে পারেন এবং নারীদের ক্ষেত্রে মাথা জুড়ে চুলের ঘনত্ব স্থায়ীভাবে কমে আসতে পারে।
তবে, আশার কথা হলো- ওষুধের কারণে যারা চুল পড়া সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, এর জন্য দায়ী ওষুধটি গ্রহণ বন্ধ করার পর তাদের চুল পড়া বন্ধ হয়েছে এবং অনেকেরই নতুন চুল গজিয়েছে। তাই, রিউম্যাটয়েড আর্থাটিসের ওষুধ গ্রহণ করার সময় চুল পড়া সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু টিপস
চুল পড়ার পেছনে কখনো কখনো অন্তর্নিহিত কোন ব্যাধি দায়ী থাকতে পারে। তাই নিচের লক্ষণগুলি দেখতে পেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার চুল পড়া যদি আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে ফেলে তবে আপনি যেকোনো সময় বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন। কারণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চুল পড়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে সঠিক সমাধান দিতে পারবেন। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/জিএস