করোনার ভুয়া রিপোর্ট : আলোচিত ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বহুল আলোচিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

তেজগাঁও জোনের পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডা. সাবরিনাকে করোনা টেস্টের জালিয়াতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গত ২৩ জুন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেকেজি হেলথ কেয়ারের নার্স তানজিনা পাটোয়ারী ও তার স্বামী হুমায়ূন কবিরকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী।

পুলিশের কাছে তানজিনা জানায়, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জেকেজি হেলথ কেয়ার করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসছিল। জেকেজি হেলথ কেয়ারে তানজিনার বেতন ছিল ৩০ হাজার টাকা। ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে জেকেজি। বিষয়টি বুঝতে পেরে তানজিনা জেকেজির কাছে আরও বেশি বেতন দাবি করে।

এনিয়ে জেকেজির কর্ণধার আরিফ চৌধুরী তানজিনা ও তার স্বামীকে চাকরিচ্যুত করে। পরে তারা দুজন বাসায় বসে নিজেরাই করোনার ভুয়া টেস্ট করে মানুষকে রিপোর্ট দেয়া শুরু করে। তানজিনা মানুষের বাড়িবাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতো আর ঘরে বসে তার স্বামী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করতো।

গত ২৩ জুন রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তানজিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। এরপরই জেকেজির কর্ণধার আরিফ চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার ওপর নজরদারি শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, এসব ঘটনায় তেজগাঁও থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার শনাক্তকরণ নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট জেকেজির নিজস্ব কম্পিউটারে তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির জব্দ করা ল্যাপটপে এসবের প্রমাণ মিলেছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ