ট্যালকম পাউডার ট্যালক থেকে নিষ্কাশিত খনিজ উপাদান সিলিকন, অক্সিজেন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি।
সাধারণত ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা হয় কারণ এটি আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘর্ষণ হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে শুষ্ক রাখে এবং ফুসকুড়ি রোধ করে।
তাই ঘর্মাক্ত বর্ষার দিনগুলোতে ট্যালকম পাউডারের ব্যবহার অনেক আরামদায়ক। এটি ঘাম ও ঘামের ফলে সৃষ্ট চুলকানি থেকেও উপশম দেয়।
বেবি পাউডার, প্রাপ্তবয়স্কদের পাউডার, ফেসিয়াল পাউডার সমূহেও ট্যালক ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ব্যবহার সুবিধাজনক হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ততটা নিরাপদ নয়।
তাই আপনাকে অবশই বহুল প্রচলিত বাণিজ্যিক ট্যালকম পাউডার থেকে দূরে থাকতে হবে। অ্যাসবেসটস সমৃদ্ধ ট্যালকম পাউডার ওভারিয়ান অথবা ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, যদি আপনার ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেসটস থাকে এবং যদি আপনি এটি নিঃশ্বাসে সাথে গ্রহণ করেন তবে এটি আপনাকে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
ট্যালকের কণা নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করলে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও মহিলাদের যৌনাঙ্গে ট্যালকম পাউডারের ব্যবহার ডিম্বাশয় ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চর্ম বিশেষজ্ঞ ডা কিরণ লোহিয়া বলেন, ট্যালক ঘাম হ্রাস করতে পারে, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নিশ্বাসের সাথে ট্যালক গ্রহণের ফলে ট্যালকম পাউডার তৈরির কারখানার শ্রমিকদের ফুসফুস ক্যান্সার ঝুঁকি বেশি। তাই ঘর্মাক্ত অবস্থায়ও বাণিজ্যিক ট্যালকম পাউডার এড়িয়ে চলা উচিত।
তবে আপনি চাইলে নিজেই বাড়িতে ট্যালকম পাউডার তৈরি করতে পারেন। ডা লোহিয়ার মতে, ভুট্টার গুঁড়া এবং মুলতানি মাটির মত কিছু সাধারণ এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বিকল্প ট্যালকম পাউডার তৈরি করা যায়।
পাউডারটি তৈরি করতে যা যা লাগবে-
কিভাবে তৈরি করবেন
সবগুলো উপাদান এক সাথে মিশিয়ে পিষে গুড়ো করতে হবে। প্রাপ্ত পাউডারটি ঘর্মাক্ত অঞ্চলে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন।
এটি কিভাবে কাজ করে
ভুট্টা গুঁড়া অতিরিক্ত ঘাম শুষে নিবে, মুলতানি মাটি উক্ত এলাকার অতিরিক্ত সিবাম (মেদ থেকে ক্ষরিত রস) শুষে নেয়, চ্যাঁমোমিল পাতা ত্বককে শান্ত রাখে আর নিমে রয়েছে এন্টিসেপটিক।
অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে সুতি কাপড় পরিধান করুন। ঘাম যুক্ত অঞ্চলগুলো নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন এবং ঘাম যুক্ত পোশাকে বেশী সময় থাকবেন না।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
টাইমস/রৌনক/এনজে