ইভ্যালিকে “চাপাবাজি” বাদ দিতে বলেছে সাধারণ ক্রেতারা!

“নিজের পকেটের টাকা দিয়া ৩-৪ মাস হা কইরা আসমানের দিকে চায়া প্রোডাক্টের লিগা অপেক্ষা করার দরকার নাই আমার, কিনলাম না দেইখা লন!”

অনলাইনে বাণিজ্যিক পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্টে এই মন্তব্যটি করেছেন তানভীরুল ইমলাম তুষার নামে একজন। যিনি আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।

ইভ্যালির ‘হট ডিল’ অফারকে প্রমোট করতে ‘পারলে না কিনে দেখান’ শিরোনামে ওই পোস্টটি করা হয়। যেখানে তুষারের মতো আরও অনেককেই ইভ্যালির সমালোচনা করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

জিএম ইউনুস আলী নামে একজন লিখেছেন,‘ ফাইজলামি করার জায়গা পান না? ফাজিল যতসব। যাদের কনফার্ম অর্ডার কয়েক মাস আটকে আছে আগে সে গুলো রিলিজ করেন। ডাকাতের দল যতসব।’

মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘চাপাবাজি বাদ দিয়ে আগে সকল ক্রেতাদের পেন্ডিংকৃত প্রোডাক্টের ডেলিভারি দেন।’

হৃশিকেশ দাস নামে একজন তার অর্ডার করা পণ্যের ইনভয়েস নাম্বার উল্লেখ করে লিখেছেন,‘ ইভ্যালি ১০০% বাটপার। মানুষের টাকা নিয়ে ধান্দাবাজি করেন। পণ্য দিতে পারতেছেন না আবার রিফান্ড করবেন বলে রিফান্ড ও করছেন না। দেই দিচ্ছি বলে দিন পার করছেন। ইভ্যালি ডিজিটাল চুর।”

এমএলএম আশরাফুল নামে একজন লিখেছেন, ‘বাটপারি কাকে বলে ইভ্যালি করায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে সক্ষম।’

ইব্রাহিম অপি নামে একজন তার অর্ডার করা পণ্যের ইনভয়েস নাম্বার উল্লেখ করে বলেছেন,‘ রেগুলার অর্ডারে ৭২ দিন চলে গেছে, এখনও প্রসেসিং চলে। আর কতো সময় লাগবে ইভ্যালির রেগুলার অর্ডার ডেলিভারি করতে।’

মাহমুদুর রহমান রতন নামে একজন লিখেছেন,‘ কারো কাছে অতিরিক্ত টাকা থাকলে এখানে ইনভেস্ট করেন। কারণ জিনিস পাইতেও পারেন আবার নাও পারেন।’

এসব মন্তব্যের বিষয়ে জানতে ইভ্যালির অফিসিয়াল টেলিফোন নাম্বারে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: