দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের তিন নেতকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় ওই তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুল ইসলাম ও সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুদ রানা। এই তিনজনকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হয়রানি, মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ এনেছে। যে কারণে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাশেদ পারভেজ আরও বলেন, অভিযুক্ত তিনজন আর কখনো আওয়ামী লীগ বা এ দলের অঙ্গ সংগঠনে যোগ দিতে পারবেন না।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুইজন সরাসরি হামলায় সম্পৃক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ। ওই দুইজনই স্থানীয় যুবলীগের নেতা।
এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ভবনে ঢুকে গভীর রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করে র্যাব ও পুলিশের পৃথক টিম।
পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে ঘোড়াঘাট থেকে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ওই ঘটনার সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আসাদুল হককে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
টাইমস/এসএন