গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

আসন্ন ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওই অফিসের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৫ টায় উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে দলটি। বিকেল চারটার পর থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেন গুলশান-২ নম্বরের ৮৬ নম্বর রোডে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে। সেখানে জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চারটি আসনের ২৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার চলছে। কিন্তু তার আগেই সেখানে কফিল উদ্দিন ও যুবদল নেতা জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা জড়ো হলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে এস এম জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এর আগে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দিতে দলের হাইকমান্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা-১৮ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি সমর্থিত আট কাউন্সিলর প্রার্থী। তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ৫০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন, ৪৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল, ৪৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোতালেব হোসেন রতন, ৪৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুর রহমান আরিফ, ৪৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন, সংরক্ষিত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ ওয়ার্ডের প্রার্থী সোহেলী পারভীন শিখা এবং সংরক্ষিত ৪৯, ৫০ ও ৫১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লুৎফা খানম চৌধুরী।

তারা লিখিতভাবে বলেন, এসএম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে এলাকায় বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করেন। এলাকার নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা তার দ্বারাও নানাভাবে হেনস্তা ও নির্যাতনের শিকার। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান, বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে ওই অফিসের আশপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: