ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এখন পুলিশ ঘুষ খেলেও তা খায় চুরি করে, অত্যন্ত গোপনে। কারণ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারলেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
রোববার দুপুরে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগে পুলিশ চাঁদাবাজি করত। সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করত। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পেন্ডিং মামলায় চালান দিত। প্রকাশ্যে ঘুষ নিত। পুলিশের অপকর্মের সঙ্গে কোনো কোনো সাংবাদিকেরও যোগসাজস ছিল। এখন এসব বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ছয় মাসে ডিএমপিতে কোনো ভুয়া মামলা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ ভুয়া মামলায় আসামি হয়ে থাকলে তাদের রিলিজ করে দেয়া হবে।
হলুদ সাংবাদিকতা যাদুঘরে চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অতীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশের মনমালিন্য ঘটনা ঘটলেও এখন এগুলো শুধুই অতীত। এখনকার সম্পর্ক অনেক চমৎকার। বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। নবীণ, কর্মঠ ও শিক্ষিত তরুণরা সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নিয়েছেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, হাতে ক্ষমতা আছে বলেই যাকে তাকে ধরে চালান দেয়া যাবে না। এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
সেবার মানসিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের মনোভাব পরিবর্তন করতে আমি নিয়মিত কাউন্সিলিং করি। পুলিশ সদস্যদের বল প্রয়োগের চেষ্টা ও খবরদারীর মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।
ডিএমপি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহসভাপতি মিজান মালিক, যুগ্মসম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দুলাল হোসেন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণপদ রায়, যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন, শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টাইমস/এক্স