মহামারির কারণে বাড়ছে মাদকসেবনের প্রবণতা

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আকাল দেখা দিচ্ছে অর্থনীতিতেও। মানুষের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যও।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে তরুণদের মধ্যে একাকীত্ব ও উদ্বেগ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়ে গেছে মাদকসেবনের প্রবণতা। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

গবেষণায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১ হাজার ৮ জন সেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ ব্যক্তিই বলেছেন, মহামারি চলাকালীন তারা হতাশার সাথে সম্পর্কযুক্ত উল্লেখজনক উপসর্গ লক্ষ করেছেন।

গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভিভিয়ানা হরিজিয়ান বলেন, ‘মহামারি চলাকালীন এবং এর পরবর্তী সময়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও ড্রাগ ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করতে হবে। এই তরুণ-তরুণীরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারা যাতে সহজে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা পেতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত ।’

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অন্তত ৬৫ শতাংশ জানিয়েছেন, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের একাকীত্ব বোধ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে।

বিজ্ঞানীর ইতিমধ্যে আবিষ্কার করেছেন যে, একাকীত্বের সাথে অন্যান্য মানসিক সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণাতেও অনুরূপ ফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, একাকীত্ব বোধ করছেন এমন ব্যক্তিদের ৭৬ শতাংশ উদ্বেগ জনিত সমস্যাতেও ভুগছেন এবং ৭৮ শতাংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন তারা এ সময় তাদের অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৫৬ শতাংশ ড্রাগ গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যালকোহল আসক্ত হয়ে পড়েছেন এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করছেন। তাছাড়া অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশই জানিয়েছেন যে তারা এ সময় অ্যালকোহল গ্রহণ করেছেন।

গবেষকদের মতে, এমন কঠিন সময়ে তরুণ-তরুণীদের সহায়তায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তারা যাতে তাদের আবেগের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে এমন পদ্ধতি সম্পর্কে ভাবতে হবে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সরকার গঠন করবে : দুদু Sep 17, 2025
img
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 17, 2025
img
মনোনয়নপত্র নিলেন সাদিক কায়েমের ছোট ভাই Sep 17, 2025
img
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এগিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ: মার্কিন দূতাবাস Sep 17, 2025
img
পিআর নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসুন: সালাহউদ্দিন আহমদ Sep 17, 2025
img
‘জানেই না তাদের ভেতরটা কত কুৎসিত’ কাদের বিষয়ে বললেন প্রভা? Sep 17, 2025
img
জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
ডাকসুতে শিবিরের জয় জামায়াতের জাতীয় পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ : তাসনুভা জাবিন Sep 17, 2025
img
আগামীর রাজনীতি হবে মেধানির্ভর : পুতুল Sep 17, 2025
img

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম

রাজাকারের নাতিপুতি ট্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অমর্যাদাকর জবানবন্দিতে নাহিদ Sep 17, 2025
img
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন চৌধুরী আর নেই Sep 17, 2025
img
দুর্গাপূজাকে ঘিরে যেকোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে : মির্জা ফখরুল Sep 17, 2025
img
আমি মুখ খুললে চাহালই বিপদে পড়বে : ধনশ্রী Sep 17, 2025
img
আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোন দলকে সমর্থন করবেন নাসুম Sep 17, 2025
img
অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সফরসঙ্গী হচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদ Sep 17, 2025
img
দুর্গাপূজায় ১৫ বছর অনুদান ছিল দুই কোটি টাকা, এবার পাঁচ কোটি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
আদর্শ মানুষ গড়তে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই : মেয়র শাহাদাত Sep 17, 2025
img
তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলেন নেদারল্যান্ডসের ফাস্ট বোলার Sep 17, 2025
img
আমরা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই : মির্জা ফখরুল Sep 17, 2025
img
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার Sep 17, 2025