ফল পুষ্টি উপাদানের অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস। বিশেষ করে এতে ফাইবার ও পটাশিয়ামের মতো বিশেষ কিছু খাদ্য উপাদান থাকে যা অন্য অনেক খাবারই থেকে পাওয়া যায় না।
বিভিন্ন ফলে পলিফেনল ও ক্যারোটিনইডের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ পুষ্টি উপাদান থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অন্যদিকে নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমায়।
তাই নিয়মিত ফল না খেলে আমাদের দেহে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ফল কম খাওয়ার সাথে খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত অসুস্থতা ও অক্ষমতার গভীর যোগাযোগ রয়েছে।
উচ্চমূল্য থেকে শুরু করে নানা কারণে মানুষ পর্যাপ্ত তাজা ফল গ্রহণ করতে পারেন না। এর একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হচ্ছে শুকনো ফল। গবেষকগণ বলছেন, শুকনো ফল গ্রহণের মাধ্যমে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করা যেতে পারে।
কিসমিস, খেজুর, বাদাম, আখরোট জাতীয় বহু ফল শুকনো অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়। অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড কিংবা অন্য তেলে ভাজা নাস্তার পরিবর্তে এসব ফল গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি একদিকে যেমন সুস্বাদু তেমনিই পুষ্টিকর।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির সম্প্রতি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, যারা নিয়মিত শুকনো ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তারা অন্যদের তুলনায় বেশি পরিমাণে পটাসিয়াম ও ফাইবারের মতো উপাদান গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির লেখক ভ্যালেরি সুলিভান বলেন, ‘শুকনো ফল স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করা খুবই উপকারী। তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন প্রক্রিয়াজাত চিনিযুক্ত না হয়।’
গবেষণায় ২৫ হাজার ৫৯০ জন সেচ্ছাসেবীর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় যেদিন অংশগ্রহণকারীরা শুকনো ফল গ্রহণ করেছেন, সেদিন তাদের মোট গ্রহণকৃত শর্করা, পটাসিয়াম, খাদ্য আঁশ, পলিউস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহনের পরিমাণ বেশি ছিল। এছাড়াও শুকনো ফল গ্রহণের মধ্যদিয়ে ব্যক্তির শক্তি, উদ্দীপনা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে।
গবেষণাটি ‘জার্নাল অব দ্যা অ্যাকাডেমি অব নিউট্রিশন এন্ড ডায়াবেটিকস’ এ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/এসএন