সময়ের সাথে আমাদের বয়স বাড়তে থাকে, শরীরে চলে আসে বার্ধক্য। যদিও সময়ের সাথে বার্ধক্য নিশ্চিত, তবে সবার ক্ষেত্রে এই বার্ধক্যের গতি এক নয়। জীবন যাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, রোগ সহ অন্য অনেক কারণেই বয়সের বিপরীতে শরীরে দেখা দিতে পারে অকাল বার্ধক্য। আবার স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণের ফলে যৌবন ধরে রাখা যায় দীর্ঘদিন।
গড় হিসেবে দেখা যায় নারীরা পুরুষদের তুলনায় দীর্ঘ জীবনের অধিকারী। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, মেটাবলিক সিন্ড্রোম প্রভৃতি পুরুষের অকাল বার্ধক্য বা দ্রুত বুড়িয়ের যাওয়ার জন্য দায়ী।
গবেষকদের মতে, পুরুষদের দ্রুত বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে হতাশা অন্যতম একটি কারণ। ইলাইফ জার্নালের বিশেষ ইস্যুতে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে গবেষণাপত্রের সহকারী লেখক ড. রিক জনসন বলেন, বার্ধক্যের ম্যাকানিজম বোঝার জন্যই এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।
গবেষকগণ নেদারল্যান্ডস স্টাডি অব ডিপ্রেশন এন্ড এনজাইটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ২,৯৮১ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭৪% ডিপ্রেশন ডিজঅর্ডার ও প্যানিক ডিজঅর্ডারের পরীক্ষা করতে হয়েছিল এবং বাকী ২৬% এ ধরণের কোনও সমস্যার মুখোমুখি হননি।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা, জীবন যাপনের ধরণ ও শারীরিক সক্ষমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবকগুলিও বিচার করেছেন। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/এসএন