গর্ভনিরোধক পিল সম্পর্কে প্রচলিত পাঁচ ভুল ধারণা

গর্ভনিরোধক পিল সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই সব ভুল ধারণার কারণে অনেকের মাঝেই এসব পিল গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়, যা ফলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে।

এসব ভুল ধারণা সম্পর্কে ভারতের ফোর্টিস হিরানান্দানি হসপিটালের কনসাল্টেন্ট গাইনোকোলজিষ্ট ড. নেহা বোথারার মতামত তুলে ধরা হলো-

গর্ভনিরোধক পিল মানেই তা ওজন বাড়িয়ে দেয়

প্রথম প্রজন্মের গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত নতুন ফর্মুলায় তৈরি পিল সমূহে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দেয় না। বরং নতুন গর্ভনিরোধক পিলগুলি পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ওজন কমাতে সহায়তা করে।

গর্ভনিরোধক পিলের ফলে ব্রণ হতে পারে

নতুন ফর্মুলায় তৈরি গর্ভনিরোধক পিলগুলিতে ভিন্নধর্মী প্রজেস্টেরন যৌগ ব্যবহার করা হয়, যা টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কম করে। ফলে এতে করে ব্রণ হওয়া বা মুখমন্ডলের মতো অনাকাঙ্খিত স্থানে চুল গজানোর সমস্যা হয় না।

এক বা একাধিক পিল গ্রহণ করতে ভুলে গেলে কোনো সমস্যা হয় না

এটি মারাত্মক ভুল ধারণা। আপনি চক্রের (সাইকেল) মধ্যে এক বা একাধিক পিল গ্রহণ করতে ভুল করলে এর ফলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ হতে পারে। তাই পিল গ্রহণে ভুল হয়ে গেলে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

গর্ভনিরোধক পিল গর্ভধারণের ক্ষমতা হ্রাস করে

গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ফলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায় এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। গর্ভধারণের পিল সাময়িক ভাবে গর্ভধারণ রোধ করে মাত্র।

গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের দরকার নেই

গর্ভনিরোধক পিল সাধারণত নিরাপদ, কিন্তু আপনার দেহে অন্তর্নিহিত কোনো সমস্যা থেকে থাকলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

তাই গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের আগে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্ট বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তিনি আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোনো ঝুঁকি আছে কিনা তা নির্ধারণ করবেন এবং কোন পিলটি আপনার জন্য কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করে দেবেন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

টাইমস/এনজে

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান Nov 15, 2025
img
জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে একদম বাইরে রাখা সমীচীন নয়: জিএম কাদের Nov 15, 2025
img
স্থগিত নয়, বাতিল জেমস-আজমতের কনসার্ট Nov 15, 2025
img
সোহানের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে হংকংকে ৮ উইকেটে হারাল টাইগাররা Nov 15, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ব্যর্থ হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরিও বাধাগ্রস্ত হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান Nov 15, 2025
img
ফি জমা দিতে পারিনি- কারিশমার সন্তানদের আকুতিকে ‘নাটক’ বলে আখ্যা হাইকোর্টের Nov 15, 2025
img
আল্লাহ যখন কিছু লিখে রেখেছেন, সেটা ঘটবেই: বাবর আজম Nov 15, 2025
img
নওগাঁয় বিএনপি নেতা বহিষ্কার Nov 15, 2025
img
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র অভিনেত্রী ভদ্রা আর নেই Nov 15, 2025
img
স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার হলেন হিরো আলম Nov 15, 2025
img
ভালোবাসা আর মানবতাই মানুষকে মহান করে: মিঠুন চক্রবর্তী Nov 15, 2025
img
ছেলেবন্ধুদের দেখেছি বাবার সঙ্গে খুব একটা বনিবনা নেই : সোহিনী Nov 15, 2025
img
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক Nov 15, 2025
img
ভারতের দালালি করে দুটি দল আজ ধ্বংসের মুখে : রফিকুল ইসলাম Nov 15, 2025
img
নওগাঁয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল শাহ বহিষ্কার Nov 15, 2025
img
সম্পর্কের মূল শক্তি সততা ও স্বচ্ছতা: রাধিকা Nov 15, 2025
img
নির্বাচনে জামানত ৫০ হাজার থেকে ২০ হাজারে নামানোর দাবি Nov 15, 2025
img
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে: সালাহউদ্দিন আহমদ Nov 15, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মির্জা ফখরুলের সমাবেশ বয়কটের ঘোষণা জেলা বিএনপির নেতাদের Nov 15, 2025
img
পাকিস্তানে চিনির রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি, কেজি ২১৯ রুপি Nov 15, 2025