ওজন কমাবে উচ্চ মাত্রার আমিষ সমৃদ্ধ যেসব খাবার

মান সম্পন্ন আমিষ খাবার গ্রহণের অনেক উপকারিতা আছে। পেশী গঠন, ওজন কমাতে কিংবা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে এটি সহায়তা করে। তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব জরুরি।

আমিষযুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না, ফলে বেশি ক্যালোরি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায়। এছাড়াও এটি শরীরচর্চার সময় বেশি পরিমাণে ক্যালোরি বার্ন করতে সহায়তা করে। ফলে ওজন কমাতে এটি খুবই সহায়ক।

আসুন ওজন কমাতে সহায়তা করবে এমন কিছু আমিষযুক্ত খাবার সম্পর্কে জেনে নিই।

আলু

আলুকে সাধারণত শর্করা জাতীয় খাদ্য মনে করা হলেও এটি অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। একইসাথে এটি আমিষের ভাল একটি উৎস। একটি খোসাযুক্ত মাঝারি আকারের আলুতে প্রায় ৪ গ্রাম আমিষ থাকে।

ভুট্টা

ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। একটি ভুট্টায় গড়ে প্রায় ১৫.৬ গ্রাম আমিষ রয়েছে। এটি সহজ লভ্য এবং সস্তা একটি খাবার।

সলোমন মাছ

সলোমন মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস। একইসাথে এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। তবে এটি খুব একটা সহজলভ্য নয়।

ব্রুকলি

এক কাপ কাঁচা ব্রুকলিতে প্রায় ২.৬ গ্রাম আমিষ থাকে। এছাড়াও এতে ফোলেট ও পটাসিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান থাকে। অন্যদিকে সমপরিমাণ ব্রুকলিতে মাত্র ৩১ ক্যালোরি রয়েছে।

ফুলকপি

ফুলকপি যে একটি আমিষ সমৃদ্ধ খাবার তা আমরা অনেকেই জানিনা। এক কাপ কাটা ফুলকপিতে ২ গ্রাম আমিষ থাকে, পক্ষান্তরে এতে মাত্র ২৭ ক্যালোরি রয়েছে।

ডিম

আমিষের উৎস হিসেবে ডিম খুব জনপ্রিয়। সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই আমিষের চাহিদা পূরণে এটি খেয়ে থাকেন। ডিমে আমিষ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। তবে ডিমের কুসুমে কলেস্টোরেল থাকে যা অস্বাস্থ্যকর। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদেরকে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে।

গরুর মাংস

গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। তবে ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই চর্বি ছাড়া গরুর মাংস খেতে হবে।

মুরগির সিনা

মুরগির সিনা বা বুকের অংশ আমিষে ভরপুর। ১৩৬ গ্রাম চামড়া ছাড়া মুরগির সিনায় প্রায় ২৬ গ্রাম আমিষ থাকে।

ওট

ওজন কমানোর জন্য ওট খুব ভাল একটি খাবার। তবে আমাদের দেশে সহজলভ্য নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম ওটে ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

শিমের বীজ

শিমের বীজ আমাদের সবার কাছেই পরিচিত এবং এটি সহজলভ্য। শিমের বীজ আমিষে ভরপুর একটি খাবার। এক চা চামচ চূর্ণ শিমের বীজে প্রায় ৯.৫ গ্রাম আমিষ থাকে।

পেয়ারা

আমিষ সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে পেয়ারার কথা উল্লেখ করতেই হবে। আমিষ সমৃদ্ধ এই ফলটি ভিটামিন সি’র মতো আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক খাদ্য উপাদানে ভরপুর।

দুধ

সবাই গরুর দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তবে যারা এটি পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি আমিষের অন্যতম যোগানদাতা হতে পারে। প্রতি ৮ আউন্স গরুর দুধে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

এছাড়াও বাদাম, বাদামের তৈরি বাটার, আলমন্ড, অ্যাভোক্যাডো, দই, শুকনো টমেটো প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর আমিষ রয়েছে। তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: