ঢাকায় ছাত্রদের মশাল মিছিলে পুলিশের টিয়ারসেল, লাঠিচার্জ

কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের হয়।

মিছিলটি শাহবাগে পৌছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল ঘুরে শাহবাগ পৌছায়। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে অবস্থান নেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারে শিক্ষার্থীরা। পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশের টিয়ারসেল ছুড়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি তাসিন মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ, ছাত্র ইউনিয়নের ইংলিশ মিডিয়ামের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক শ্রাবণ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফি নিতু, ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য অন্তু অরিন্দম, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নাজিফা জান্নাতসহ অন্তত ১৫ জন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় আটক রাখা হয়েছিল। লেখক মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: