বাজেটে ধূমপায়ীদের জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ

ধূমপানকে নিরূৎসাহিত করার জন্যই মূলত প্রতিবছর বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির দাম বাড়ানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এসময় তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জর্দা ও বিড়ি-সিগারেটের ওপর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রস্তাবের ফলে এটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেল যে, শিগগিরই সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ছে।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই স্তরে ৫৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৩ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১০২ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ১৩৫ টাকা ও তদূর্ধ্ব নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই তিন স্তরে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে দেশীয় বিড়িশিল্প বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই খাতে পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

এছাড়া ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

জর্দার দাম নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ