নিজ গ্রামে শায়িত হবেন সোনালী কাবিনের কবি

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদকে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কবির বড় ছেলে শরিফ আহমেদ।

তিনি জানান, রোববার বাদ যোহর তৃতীয় জানাজা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

কবির জন্য দোয়া চেয়ে তার আরেক ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির বলেন, বাবা নিজের অজান্তে কোনো ভুল করে থাকলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনারা দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কবির মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানে কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেস ক্লাবে কবির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোনালী কাবিন-এর এই কবি।

৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি আল মাহমুদ। তাকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। অবস্থা আরও গুরুতর হলে শুক্রবার তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেয়া হয়। পরে রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

কবি আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর। তার দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।

আল মাহমুদ শুধু আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি নন, তিনি একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

 

টাইমস/এমএএইচ/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক : সেলিমুজ্জামান Dec 20, 2025
img

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বিবৃতি

কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে Dec 20, 2025
img
রাশিয়াকে পশ্চিমা দেশগুলো সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না : পুতিন Dec 20, 2025
img
ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন Dec 20, 2025
img
২০ ডিসেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত যতো ঘটনা Dec 20, 2025
img
কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া? Dec 20, 2025
img
ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Dec 20, 2025
img
লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন জুবাইদা রহমান Dec 20, 2025
img
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি : প্রধান উপদেষ্টা Dec 20, 2025
img
তাসকিনের ৩ উইকেট, ফিজের ২, জয় পেল দুবাই ক্যাপিটালস Dec 20, 2025
img
আসছে ‘ফোর ইডিয়টস’, কে থাকছেন চার নম্বরে ? Dec 20, 2025
img
মঞ্চে মাদক সেবনে কারাদণ্ড উইজ খলিফার Dec 20, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০ Dec 20, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির জানাজা বেলা দুইটায় Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি Dec 20, 2025
img
নতুন লুকে নজর কাড়লেন কেয়া পায়েল Dec 20, 2025
img
নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান হাবিবের Dec 20, 2025
img
হাদির ঘটনা-গণমাধ্যমে হামলা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান সাকি Dec 20, 2025
img
হাজার কোটির ক্লাবে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ Dec 20, 2025
img
হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দোহারে বিক্ষোভ Dec 20, 2025