১৯৩০ সালে শেষ হয় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পর্যন্ত রেললাইন নিমানের কাজ। তার ৮০ বছর পর ২০১০ সালে শুরু হয় দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু- কক্সবাজার এবং ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৯৩ বছরের মাথায় দৃশ্যমান হলো কক্সবাজারের রেললাইন। যার ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ পুরো রেলপথজুড়ে, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, দুলহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার পর্যন্ত ৯ টি স্টেশন। তার মধ্যেই কক্সবাজার শহরের ঝিলংজার চান্দের পাড়া এলাকায় ঝিনুকের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশন। আর এই স্টেশন নির্মানের কাজ হয়েছে ৬৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষন ও মুল্যায়ন বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের নির্মান কাজ পরিদর্শনে আসেন, এসময় তিনি বলেন, কেবল পর্যটন নয় আঞ্চলিক যোগাযোগ ও অর্থনৈতিকভাবেও গরুত্বপূর্ন এই রেললাইন।
এসময় দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান,চকরিয়া থেকে মালবাহী ট্রেনলাইন যাবে মাতারবাড়ী আর রামু থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত রেললাইনের এ কাজ এ পেইজে নয় ২য় পেইজে শুরু করা হবে। তিনি জানান,প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত হলেও ২০২৩ সালেই দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মানের কাজ শেষ হবে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনে ৩৯ টি বড় ব্রীজ, ১৪৫ টি কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণীর ৯৬ টি লেভেল ক্রসিং ছাড়াও হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। প্রতিঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ট্রেন চলবে এ পথেম,যাতে ঢাকা থেকে ৫ ঘন্টা আর চট্টগ্রাম থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগবে বলে জানান প্রকল্পের প্রকৌশলিরা।