দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন

দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কার্যক্রম শুরু হলো। ঘাঁটির নাম- ‘বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি’। সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন উপলক্ষে পেকুয়া উপকূলের সাবমেরিন ঘাঁটি এলাকা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। দেশের ইতিহাসে প্রথম শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটিতে এরই মধ্যে বেশকিছু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও সক্ষম বাহিনী হিসেবে গঠনে বর্তমান সরকার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সমুদ্রের অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু আধুনিক ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি আধুনিক শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বিশেষায়িত ঘাঁটি সংযোজিত হয়েছে।


দেশের দুটি সাবমেরিন পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ জেটি হবে কক্সবাজারের পেকুয়ার এই ঘাঁটি থেকে। নৌবাহিনী বলছে, ছয়টি আধুনিক সাবমেরিন পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে এখানে। যার নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে, সব চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সমুদ্রের অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় নৌবাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

গত ২০১৭ সালের ১২ মার্চ চীন থেকে আনা বানৌজা ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের সাবমেরিন দুটির কমিশনিং করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় সাবমেরিনের এই ঘাঁটি নির্মাণের ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান।

সাবমেরিনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থেই বিশেষায়িত ঘাঁটির প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা।

সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সুসজ্জিত সাবমেরিনগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল।

Share this news on: