রেকর্ড গড়ল মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। মেরিটাইম সেক্টরে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর যা পারেনি প্রথম জাহাজেই তা করে দেখালো মাতারবাড়ি। দেশের শিপিং সেক্টরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম ও বেশি ড্রাফটের ( জাহাজের পানির নিচের গভীরতা) জাহাজ ভিড়লো মাতারবাড়িতে।
২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতার এমভি ‘অউসো মারো’ নামের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার তারহান বন্দর থেকে ৬৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে জাহাজটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেটিতে ভিড়ে।
এর আগে, ১১৭টি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে ভিড়লেও গতকালই প্রথম ভিড়লো কয়লা নিয়ে। এই কয়লা দিয়ে জুন মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৩৫০ মিটার চওড়া ও ১৬ মিটার গভীরতার কৃত্রিম চ্যানেল (জাহাজ চলাচলের পথ) দিয়ে জাহাজটি ভিড়াতে চারটি টাগবোট ও একটি পাইলট বোট কাজ করেছে।
এ বিষয়ে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এতোবড় জাহাজ ভিড়ানোর রেকর্ড না থাকায় আমরা খুব সতর্ক ছিলাম। এজন্য চারটি টাগবোটের পাশাপাশি একটি পাইলট বোট কাজ করেছে।’
টাগবোট ও পাইলট বোটের কাজ কী ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ জাহাজটির গতিপথ ঠিক রাখতে টাগবোটগুলো চারপাশ থেকে চাপ দিয়ে রেখেছে এবং পাইলট বোটটি পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে। কারণ টাগবোট ছাড়া জাহাজ ভেড়ানো কঠিন। তবে আমরা সফলভাবে জাহাজ ভিড়াতে সক্ষম হয়েছি এবং ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। দেশে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভেড়ানোর সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম।’
এদিকে জাহাজটি ভিড়ানোর সাথে সাথে বন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তারা করতালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। এখন পর্যায়ক্রমে ৬৩ হাজার টন কয়লা খালাস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্টোরেজে রাখা হবে।