এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো আগামী ঈদুল আজহার যাত্রাকেও স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সেতুভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ঈদযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হবে গরুর হাট, পশুবাহী ট্রাক ও বৃষ্টি। কাজেই ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সে লক্ষ্যে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এবারের ঈদে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল, রাস্তা ছিল ভাল। যে কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজটের দুর্ভাবনা অতীতে যেটা ছিল এ পর্যন্ত সেটি হয়নি। বিশেষ করে বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানজটের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। অনেকটা যানজটমুক্ত ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। সামনের দিনে এ ধারাকে আরও ইতিবাচক করতে হবে। ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রথম কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকা সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ জমা দেওয়া হবে।’
সড়ক পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘এত সেতু, এত রাস্তা করা হলো তারপরও এখানে ইতিবাচক অগ্রগতি সেভাবে হচ্ছে না। আমরা হাল ছাড়ছি না। কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এটা অতিক্রম করা সম্ভব। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকসহ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।