আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর শেষে সোমবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে গত শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। স্যাংশন দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের উপর দেওয়া হচ্ছে স্যাংশন! আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই কিনব না। আমি আর কী করব! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান এতে আমরা ভীত হব কিনা?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার- যারা আমাদের ওপর সেংশন দেবে, ওসব দেশের কাছ থেকে আমরা কিছুই কিনব না। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে আমি এই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব।অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি
টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘কথা নাই বার্তা নাই, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবে, আমরা ভয় নিয়ে বসে থাকব। কেন? আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আমাদের দেশের মানুষই নিজের দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে।’

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ জালসহ ৩৩ জেলে আটক Jul 22, 2025
img
নাটোরে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষে আহত ১০ Jul 22, 2025
img
নিহত পাইলট তৌকিরের প্রথম জানাজা সম্পন্ন Jul 22, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা Jul 22, 2025
আমাদের যতটুকু সামথ্য ছিল চেষ্টা করেছি -মাইলস্টোনের শিক্ষক Jul 22, 2025
img
মাইলস্টোনের ঘটনা: ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে শোক প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের Jul 22, 2025
img
সব বাচ্চাগুলোর মাঝে আমার ফারিশকে দেখতে পাচ্ছি: মাহি Jul 22, 2025
img
'নিকুঞ্জে খেলার মাঠ দখল করে ফুড কার্ট' Jul 22, 2025
মাইলস্টোনে আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছে সরকার Jul 22, 2025
img
সন্তান বাসায় না আসলে মায়ের মনে কি চলে শুধু মায়েরাই ভালো জানে : বর্ষা Jul 22, 2025
img
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট Jul 22, 2025
img
সুনামগঞ্জ সীমান্তের চেলা নদী থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ Jul 22, 2025
img
‘আমি তাদের দেইনি বলে তারা ক্ষুব্ধ’, মুত্র পান প্রসঙ্গে জবাব দিলেন অভিনেতা পরেশ Jul 22, 2025
img
মাইক্রোসফটের সার্ভার হ্যাক, ১০০ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত Jul 22, 2025
img
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার পর রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল Jul 22, 2025
img
মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নেয়া হয়েছে: আইন উপদেষ্টা Jul 22, 2025
ঘটনাস্থলের পাশেই পড়ে আছে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ছুটির আবেদন Jul 22, 2025
img
পাকিস্তানে বন্যায় ৪ পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৫ Jul 22, 2025
img
মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান : আইএসপিআর Jul 22, 2025
img
দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট Jul 22, 2025