এবার ঈদযাত্রায় সড়কে নেই বাড়তি চাপ

মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। ঈদ এখনও চারদিন বাকি থাকায় বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। অনেকে নির্বিঘ্নে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাত্রা সহজ করতে আগেই বাড়িতে ফিরছেন।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে যাত্রী উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা বাড়ছে। তবে সেই সংখ্যা খুব বেশি না। বাস কাউন্টারগুলোতে নেই বাড়তি কোনো চাপ। নিয়মিত আসা বাসগুলোতেই ঈদযাত্রা করছে মানুষ।

সায়েদাবাদ টার্মিনালের পরিবহন কাউন্টারের স্টাফরা জানান, গতকাল কিছু ভিড় ছিল। অনেকে পরিবারের সদস্যদের আগে বাড়ি পাঠাচ্ছেন। তাই গতকাল ভিড় বেশি ছিল। আজ সকাল থেকে শুরুতে যাত্রী একেবারে ছিল না বললেই চলে। তবে ৯টার পর থেকে কিছুটা বেড়েছে। মূলত চাপ বাড়বে ২৬ জুন। ২৭ তারিখ ছুটি শুরু হওয়ায় আগেরদিন অনেক চাপ পড়বে বলে মনে হচ্ছে।

যাত্রীরা বলছেন, পরিবার নিয়ে আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কোরবানি ঈদের সবচেয়ে আনন্দের বিষয় গরু কেনা। আগে বাড়িতে যাওয়ার সেটাও একটা কারণ।

আগামী ২৯ জুন মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ঈদে আগামী ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে ২৭ জুন ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

প্রতিবছরই কোরবানির ঈদে রাজধানী থেকে সড়ক পথে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই সারাদেশ থেকে ট্রাকে করে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ঢাকায় আসতে থাকে। যাত্রীবাহী গাড়ির চাপও থাকে মহাসড়কে। ফলে লেগে যায় যানজট। যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসগুলোর সিডিউল ভেঙে পড়ে। নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়তে পারে না। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

তবে এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সক্রিয় রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গাড়ি সাবধানে চালানোর জন্য ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টেকসই লেনদেন ও বিনিয়োগ উভয়ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 21, 2025
img
দেশের ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস Jul 21, 2025
img
গাজায় একদিনে প্রাণ হারালেন আরও অন্তত ১১৫ ফিলিস্তিনি Jul 21, 2025
img
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৭ সন্ত্রাসী Jul 21, 2025
img
আর্সেনালের স্বপ্নভঙ্গ! সুইডিশ তারকা গিয়করেজকে দলে ভেড়াচ্ছে ইউনাইটেড Jul 21, 2025
img
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কামপালা, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা Jul 21, 2025
img
চট্টগ্রামে বৈষম্যেবিরোধী নেতাকে মারধরের অভিযোগ Jul 21, 2025
img
'রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের লক্ষ্যেই আমরা লড়াই করছি' Jul 21, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, মেঘলা থাকবে আকাশ Jul 21, 2025
img
দাঁতের সুস্থতায় যে নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি Jul 21, 2025
img
মশামুক্ত থাকতে বর্ষায় ঘরে রাখতে পারেন যেসব গাছ Jul 21, 2025
img
আহত ও শহীদ পরিবারদের জন্য ফান্ড করবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল Jul 21, 2025
img
মিরপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেফতার ৫ Jul 21, 2025
img
সাইপ্রাস ভেঙে আলাদা দুই রাষ্ট্র গঠনে জোরালো অবস্থান এরদোয়ানের Jul 21, 2025
img
‘ভাইরাল বৈয়ারি’ গানে শ্রীলীলার নাচ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক Jul 21, 2025
img
ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন পেছালে সরকারকে এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না : ইশরাক হোসেন Jul 21, 2025
img
স্বাধীনতা বিরোধীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : বিএনপি নেতা নীরব Jul 21, 2025
img
পায়রা বন্দর ঘিরে বহুমুখী পরিকল্পনা করেছে সরকার : নৌপরিবহন উপদেষ্টা Jul 21, 2025
img
সরকারের অভিলাষ নিয়ে আমরা শংকিত : চরমোনাই পীর Jul 21, 2025
img
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর ধৃষ্ঠতাপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে : লুৎফর রহমান Jul 21, 2025