দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত এবং উজানের (ভারতের) পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন নদনদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০৯টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৬৯টিতেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়দের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা থাকলেও আগামী বুধবার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মায় পানির উচ্চতা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারতের গঙ্গায় পানি বাড়ছে, যার প্রভাব পড়বে এসব নদীতে। এ ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি অঞ্চলের উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের সুরমা, পুরাতন সুরমা, যাদুকাটা, সারিগোয়াইন, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও কংসের পানি দ্রুত বেড়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।