বর্ষাকালে বাড়ির যত্ন নেওয়ার ছয় টিপস

বর্ষা আসার সাথে সাথে প্রকৃতি পুনরুজ্জীবিত হয়। সতেজ বাতাসে পরিবেশ ভরে যায়। তবে এ সময় আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়। খুব বেশি বৃষ্টিপাত আবার বাড়ির জন্য ক্ষতিকর। তার এই ঋতুতে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। ফুটো ছাদ, আর্দ্র দেয়াল এ সময়ের সাধারণ সমস্যা। তাই নিজেদের বাড়ির নিরাপদ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা অপরিহার্য। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘরবাড়িকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

পানিরোধী নিশ্চিত করুন

আপনার দেয়াল, ছাদ এবং মেঝেতে কোনো ফাটল বা ফুটো আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। ছিদ্র বন্ধ করতে পানিরোধী পেইন্ট প্রয়োগ করুন। এতে বর্ষাকালে ঘরের ভিতর আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

ড্রেনেজ সিস্টেম পরিষ্কার করুন

বাড়ির আশেপাশের নর্দমা এবং ড্রেনগুলো পরিষ্কার করুন। পানি প্রবাহ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। কোথাও পানি জমে থাকলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিন। নিয়মিত ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো পরীক্ষা করুন। এগুলো পরিষ্কার করুন।

অ্যান্টিফাঙ্গাল পেইন্ট ব্যবহার করুন

বর্ষাকালে বাড়িতে অ্যান্টিফাঙ্গাল পেইন্ট ব্যবহার করুন। এটি ঘর থেকে ছত্রাক দূর করে। ঘরের আসবাবপত্র ভাল থাকে। বাড়িকে আর্দ্রতা-প্ররোচিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এই রঙগুলো ঘরের ভিতর একটি তাজা ও প্রাণবন্ত চেহারা যুক্ত করে।

ডোরম্যাট

বর্ষাকালে দরজার সামনে অবশ্যই ডোরম্যাট রাখবেন। পায়ের কাদা মুছে ঘরে ঢুকবেন। এতে মেঝে ভেজা থাকবে না। টেকসই এবং পানি শোষণকারী ম্যাট ব্যবহার করুন।

আসবাবপত্রের সুরক্ষা

কাঠের আসবাবপত্রে আর্দ্রতা-প্রতিরোধী আসবাবপত্র পলিশ বা পেইন্ট ব্যবহার করুন। পানি দিয়ে ধোয়া যায় এমন কভার দিয়ে আসবাবপত্র ঢেকে রাখুন। ন্যানো আবরণ বা দাগ-প্রতিরোধী স্প্রে ব্যবহার করুন।

বায়ুচলাচল

আর্দ্রতার মাত্রা কমাতে দিনের বেলা জানালা খুলে রাখুন। এতে ঘরে ভালভাবে বায়ুচলাচল হবে। বিশেষ করে, বাথরুম এবং রান্নাঘরে আলো ঢুকতে দিন। এতে করে আর্দ্রতার সঠিক মাত্রা বজায় থাকবে।



Share this news on:

সর্বশেষ

img
নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে জরুরি বার্তা Sep 19, 2025
img
‘যিনি দলের নির্দেশনা ভঙ্গ করেননি তাকেই দল মনোনয়ন দেবে’ Sep 19, 2025
img
ইলিয়াসের গায়ে হাত দিলে আমি তারে ছাইড়া দিবো না Sep 19, 2025
img
টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বন্দি ৬৬ জনকে উদ্ধার Sep 19, 2025
img
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ Sep 19, 2025
img
রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Sep 19, 2025
img
ওয়েলালাগের বাবা আর নেই শুনে ‘সরি’ বললেন নবি Sep 19, 2025
img
ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার Sep 19, 2025
img
সুপার ফোরে কবে কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ Sep 19, 2025
img
দুনিথ ওয়েলালাগের বাবা আর নেই Sep 19, 2025
img
আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে গেল শ্রীলঙ্কা Sep 19, 2025
img
চবি ভিসি-প্রোভিসির সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার মতবিনিময় Sep 19, 2025
img
কাশিমপুর থানা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
জ্যান ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ড ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া Sep 18, 2025
img
ইউরোপে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ তুলে ধরার আশ্বাস দিল প্রতিনিধি দল Sep 18, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Sep 18, 2025
নাহিদ ইসলামকে জেরা শেষে যা বললেন আসামি পক্ষের আইনজীবী Sep 18, 2025
img
আসিফ মাহমুদের নতুন এপিএস রাহাত Sep 18, 2025
img
মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ: দ্য টাইমস Sep 18, 2025