আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিনটি যথাযথভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে সচেতনতামূলক এসএমএস পাঠানো হবে।

সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।

এদিকে, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

১৯৭৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। সে বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটিও হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। ওইদিন ঠাকুরগাঁওয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।



Share this news on:

সর্বশেষ

চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার, রিজভীর স্বাক্ষরে চিঠি Jul 07, 2025
img
সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস Jul 07, 2025
img
সাড়া দেয়নি ইউরোপ, সেপ্টেম্বরে এশিয়ার কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলবে হোমজারা? Jul 07, 2025
img
ব্যক্তিস্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থেই দুদকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে: আহমদ তৈয়্যব Jul 07, 2025
img
রণবীর সিং-কে নিয়ে এক দশক পর ফিরছে ডন সিরিজ Jul 07, 2025
img
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Jul 07, 2025
img
গত ১৭ বছরে পিওনের চাকরিতেও এমপি-মন্ত্রীদের ডিও লেটার লেগেছে: ফয়েজ আহম্মদ Jul 07, 2025
img
রাজধানীর বাইরে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন ঠেকাতে আবেদন Jul 07, 2025
ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব –নাটোরে নাহিদ Jul 07, 2025
রাজউকের অভিযানে স্থানীয়র বাধা; পরে যা জানা গেলো... Jul 07, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে Jul 07, 2025
img
‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০ বছরের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে’ Jul 07, 2025
img
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাথে হেফাজত আমিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 07, 2025
img
রিয়েল এস্টেট সংস্থার হয়ে প্রচারের কারণে মহেশ বাবুকে আইনি নোটিশ Jul 07, 2025
সাংবাদিক পরিচয়ে এরা কারা? Jul 07, 2025
আয়না ঘরে দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন: ছাত্রদল নেতার বিবরণ! Jul 07, 2025
জুলাই নিয়ে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতভেদ Jul 07, 2025
img
জীবনসঙ্গীকে অবশ্যই ফেমিনিস্ট হতে হবে : বাঁধন Jul 07, 2025
img
মঙ্গলবার ইরান থেকে ফিরবেন আরও ৩২ জন Jul 07, 2025
img
ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ সিরিজে থাকছেন না হারিস রউফ! Jul 07, 2025