মেট্রোরেলের ১৩ ও ১৪তম স্টেশন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণিতে থামলো ট্রেন। উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো সকাল থেকে এ দুটি স্টেশনে থামছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের মানুষদের জন্য যোগাযোগের নতুন এক দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) স্টেশন দুটি জনসাধারণের জন্য চালু করা হয়েছে।
এরপর সকাল ৭টা ১৪ মিনিটে প্রথমে মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখী ছেড়ে আসা ট্রেনটি টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে থামে। এরপর উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখের ট্রেনটি সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এ স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন ঘিরে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনেক বেশি। এই স্টেশন খুলে দেয়ার পর থেকেই ঢাবি, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েটসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই এই স্টেশনের সুফল ভোগ করছেন।
এই স্টেশন যারা ব্যবহার করেছেন বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা, তারা আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন। তারা বলছেন, পড়াশোনা নিয়ে সবসময় মানসিক চাপে থাকেন তারা, এর সাথে ছিল সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানো। এখন থেকে আগের মতো আর তাদের মানসিক চাপ নিতে হবে না। পরীক্ষা বা ক্লাস আর মিস হবে না, সময়মতো পৌঁছে যেতে পারবেন।
যাত্রীরা বলছেন, যানজটের দুর্ভোগ কমিয়ে স্বল্প সময় এবং নির্ঝঞ্জাট যাত্রার জন্য মেট্রোরেল এখন ঢাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ।
আজ থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে আরো দুটি স্টেশন চালু হওয়ার ফলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। স্বল্প সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কষ্ট লাঘব হয়েছে বহুগুণ।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বড় উপকার হয়েছে।
এখন আর দূর থেকে কষ্ট করে আসতে হবে না। পুরোদমে মেট্রোরেল যখন চালু হবে তখন আরো সুবিধা হবে।
এই স্টেশন দুটি চালুর ফলে মেট্রোরেলের ১৭টি স্টেশনের মধ্যে বাকি থাকবে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ এবং কমলাপুর স্টেশন।
যদিও কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন বর্ধিতের কাজ চলছে। বাকি স্টেশনগুলোও এই মাসের মধ্যে চালুর কথা রয়েছে।
সব স্টেশন চালু হওয়ার পর দিন-রাত চলাচল করবে মেট্রোরেল। বর্তমানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মতিঝিল থেকে উত্তরা রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে। আর আগারগাঁও থেকে উত্তরা রুটে চলাচল করছে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এর বাইরে এমআরটি কার্ডধারীদের জন্য রয়েছে দুটি আলাদা ট্রেন।