পর্দা নামল রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী আয়োজিত ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ)। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপনী ঘোষণা করেন।
এবারের বাণিজ্যমেলায় প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। এটি গত বছরের মেলায় প্রাপ্ত রপ্তানি আদেশের তুলনায় ১৭.২৫% বেশি।
এছাড়া মেলায় আনুমানিক প্রায় ১৫০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে, যা গত বছরের মেলায় বিক্রির চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। এছাড়া আয়োজক সংস্থার প্রধান হিসেবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান এ. এইচ. এম. আহসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবারের বাণিজ্যমেলা।
ইপিবি’র (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি; যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুইটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি।
সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ছয় একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে যায় মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্রে বাণিজ্যমেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর আগে রাজধানীর ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা হতো।