ঈদুল ফিতরের আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। ইতোমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা।
এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী ও ঢাকামুখী মোট ২৪ হাজার ১৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়। এই ২ দিনে সেতু দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি চলাচল করেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদের ছুটির আগেই মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দুই লেন হওয়ায় যানজটের শঙ্কা প্রকাশ করেছে চালকরা। তবে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই অংশে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সে লক্ষে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও বর্তমানে কোনো যানজট নেই। স্বাভাবিকের মতো যান চলাচল করছে। ঈদের ছুটি হলে যানবাহনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।