চিকিৎসক দিনে কতজন রোগী দেখবেন তা বেঁধে দেবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একজন চিকিৎসক দিনে কতজন রোগী দেখতে পারবেন তা সরকার বেঁধে দেবে। এ বিষয়ে বিধান রেখে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় রোগীর যদি কোনো ক্ষতি হয়, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেব না। সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তার কাজের সময়ের মধ্যে যদি হাসপাতালে না থেকে অন্য কোথাও গিয়ে যদি অপারেশন বা এমন কিছু করে, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার এবং রোগীর সম্পর্কটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা কোনো অংশেই ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের থেকে কম না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের চিকিৎসকদের কাউন্সেলিংয়ের সময়টা দেওয়ার অভাব।’

‘আমরা যে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনটা করছি, সেখানে এটা রাখবো- একজন চিকিৎসক কত সংখ্যক রোগী দেখতে পারবেন। একজন রাত দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত সেটা থেকে যেন একটা স্বল্প সংখ্যক সময়... সঠিক সময় সঠিক রোগী দেখার ব্যবস্থা যেন হয়। ওভাবেই আমরা আইনটা করব। অল্প রোগী দেখবেন ভালোভাবে দেখবেন। রোগীদের সময় দিয়ে দেখতে হবে। তখন ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের আস্থা আসবে।’

চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা নেই বলে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে মন্তব্য করে সামন্ত লাল সেন বলেন, ওখানে গিয়ে যে খুব একটা ভালো কিছু হবে সেটা না। আমি তো ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসেছি। ভুটানের রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটানের রাজা বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি। আমরা ভুটানে একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য বাইরে
আমরা হাসপাতাল বানানোর অনুমতি দিয়েছি।’

ওষুধ এবং এনেস্থেসিয়ার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটা কড়া নির্দেশ দিয়েছি যেন তিনি এটা তদন্ত করেন। যে কয়জন রোগী মারা গেছেন, তাদের কি স্যালাইন ইউজ করা হয়েছিল বা হয়েছিল কি না। একই সঙ্গে ওষুধের গুণগত মান ভালো না, কেন ভেজাল- এটা নিয়ে আমি কাজ করছি এবং ডিজি ড্রাগকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চীন থেকে ২০টি অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, সম্ভাব্য ব্যয় ২.২ বিলিয়ন ডলার Oct 07, 2025
img
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা প্রত্যাশা জামায়াতের Oct 07, 2025
img
সমুদ্রপথে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা Oct 07, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কমিশনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায় ইসি Oct 07, 2025
img
আইন সচিব হলেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা Oct 07, 2025
img
যথাযথ সংস্কার হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক Oct 07, 2025
img
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথম সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা Oct 07, 2025
ভারতীয় ঠিকাদারের অপূর্ণ কাজ, বেহাল ১১ কিমি মহাসড়ক Oct 07, 2025
img
আলোচিত সেই বিড়াল রহস্য উন্মোচন করলেন তারেক রহমান Oct 07, 2025
img
আওয়ামী লীগের বিচারে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু Oct 07, 2025
img
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে পুতিন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ Oct 07, 2025
img
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছাল হংকং Oct 07, 2025
img
দেশে বজ্রপাতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের Oct 07, 2025
img
কুয়াকাটায় নিখোঁজ ৫ জেলে ফিরলেন ৮ দিন পর Oct 07, 2025
img
অ্যালবাম নিয়ে এআই বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফ্ট Oct 07, 2025
img
বিএনপি চাঁদাবাজি করে এমন উপলদ্ধি জনগণের থাকুক, এমনটাই চায় সরকার: রুমিন ফারহানা Oct 07, 2025
img
নতুন বলে মারুফার সুইং সামলাতে পারছেনা ইংল্যান্ড Oct 07, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি দৃঢ় থাকবে, ততই সন্দেহ চলে যাবে : তারেক রহমান Oct 07, 2025
img
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েছি: সুস্মিতা Oct 07, 2025
img
প্রায় ১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফিরলেন স্টার্ক Oct 07, 2025