সেন্ট মার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রকে না দেয়ায় ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে: দাবি হাসিনার

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে উপস্থিতি জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনে আরও অধিক সহিংসতা এড়ানোর জন্য শেখ হাসিনা পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি জনগণকে কারো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের অপমান করে কোনো বক্তব্য দেননি। মিডিয়া তার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, পরাজয় মেনে নিয়ে তিনি দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দ্রুতই আমি দেশে ফিরে আসব ইনশাল্লাহ। আমার পরাজয় হলেও বাংলাদেশের জনগণের জয় হয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা দেশে রয়েছেন আপনারা মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ কখনও হারেনি, বার বার উঠে দাঁড়িয়েছে।

তার বক্তব্য বিকৃতি করা হয়েছে জানিয়েছে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবারও বলতে চাই, আমি তাদের কখনও ‘রাজাকার’ বলিনি। আমার কথাকে বিকৃত করা হয়েছে। একদল গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের বিপদে ঠেলে দিয়ে সুযোগ নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে তা নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও গোলাটে হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি প্রকাশ করে। তাতেও সরকার কর্ণপাত না করলে শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের এক দফা দাবি কর্মসূচি ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতার বিক্ষোভ গণআন্দোলনে রূপ নিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেই জুলাই সনদ : আলী রীয়াজ Jul 21, 2025
img
ভুটান লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে গেলেন দুই ফরোয়ার্ড তহুরা ও শামসুন্নাহার Jul 21, 2025
img
বিতর্কিত ৩ নির্বাচন : ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য নিচ্ছে ইসি Jul 21, 2025
img
সিদ্ধার্থ-কিয়ারার সন্তানের সঙ্গে সালমানের ছবি ঘিরে তোলপাড় Jul 21, 2025
img
আইসিসির সদস্যপদ পেল আরও নতুন ২ দেশ Jul 21, 2025
img
‘এ মানুষগুলো বিশ্বাসঘাতক’, কেকের মৃত্যু নিয়ে অভিজিতের বিস্ফোরক মন্তব্য Jul 21, 2025
img
নির্বাচনে হেরে গিয়েও ক্ষমতা ছাড়তে চান না জাপানের প্রধানমন্ত্রী Jul 21, 2025
img
খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাল যুবক Jul 21, 2025
img
‘ফখরের ব্যাটিং সম্ভবত ভুল একটি বার্তা দিয়েছে’, কেন এমন মন্তব্য পাকিস্তান কোচের? Jul 21, 2025
img
সূচক বেড়ে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে Jul 21, 2025
img
বিশ্বসংগীতে আবারও নতুন ইতিহাস গড়ল বিটিএস! Jul 21, 2025
img
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ খালেদ আটক Jul 21, 2025
img
যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফার্মগেটে এসে থেমে গেল মেট্রোরেল Jul 21, 2025
img
ক্যামেরা দেখেই হঠাৎ রেগে গেলেন অভিনেতা অমিতাভ Jul 21, 2025
img
আমার কাছের মানুষরাই আমাকে বিশ্বাস করছে না : সালসাবিল Jul 21, 2025
img
জামায়াত আন্তরিকতার পরিচয় দিতে পারেনি : নিলুফার চৌধুরী Jul 21, 2025
img
বারাক ওবামাকে গ্রেফতারের কৃত্রিম ভিডিও শেয়ার করলেন ট্রাম্প Jul 21, 2025
img
মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির Jul 21, 2025
img
যেখানেই মব দেখবেন সেখানেই উচিত শিক্ষা দেবেন : ইশরাক হোসেন Jul 21, 2025
img
দুই দিনের সফরে ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী Jul 21, 2025