সুদানে বাঁধ ধসে ৬০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ শতাধিক

পূর্ব সুদানে আরবাত বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা শতাধিক। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দ্য রেড সি স্টেটস ওয়াটার করপোরেশনের ওমর ইসা তাহির বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে দেশটির রাজধানী পোর্ট সুদানের কাছাকাছি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।’ বাঁধ এলাকা ও আশপাশের গ্রামগুলোতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

তাহির বলেন, বন্যায় যারা আটকে পড়েছে তাদের আগে সরিয়ে নিতে হবে। উদ্ধারকারী দল বর্তমানে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টির কারণে বাঁধ ধসে ভয়াবহ বন্যায় আশপাশের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পোর্ট সুদান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই বাঁধ। এতে ২৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি ধারণ করা যেত যা শহরের পানির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় তিন লাখ ১৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে সুদানের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ। সুদানে প্রায় প্রতি বছরই জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে বন্যা হয়ে থাকে। দেশটিতে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটিতে শুরু হওয়া সশস্ত্র ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতের ফলে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন সুদানে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে আনুমানিক এক কোটি সাত লাখ ১০ দশমিক সাত মিলিয়ন মানুষ। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দুই দশমিক দুই মিলিয়ন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জ্যান ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ড ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া Sep 18, 2025
img
ইউরোপে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ তুলে ধরার আশ্বাস দিল প্রতিনিধি দল Sep 18, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Sep 18, 2025
নাহিদ ইসলামকে জেরা শেষে যা বললেন আসামি পক্ষের আইনজীবী Sep 18, 2025
img
আসিফ মাহমুদের নতুন এপিএস রাহাত Sep 18, 2025
img
মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ: দ্য টাইমস Sep 18, 2025
img
প্রথম প্রেম মনে করার দিন আজ Sep 18, 2025
img
হিমাচলে বন্যার্তদের তোপের মুখে কঙ্গনা Sep 18, 2025
img
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতির বিরোধিতা করলেন ট্রাম্প Sep 18, 2025
img
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ Sep 18, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে Sep 18, 2025
img

শেষ ওভারে নবির ৫ ছক্কা

শ্রীলংকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান Sep 18, 2025
img
আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Sep 18, 2025
img
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Sep 18, 2025
img
যারা পিআর নিয়ে কথা বলে তারা নির্বাচনের বিরোধিতা করে : টুকু Sep 18, 2025
img
অনেকেই চান দুর্নীতি থাকুক, কারণ তারা এ থেকে সুবিধা পান: ফাওজুল কবির Sep 18, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ফেডারেশনকে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে : ডা. জাহিদ Sep 18, 2025
img
ফ্রান্সে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে Sep 18, 2025