শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রল করলেন জামায়াত আমির

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রল করে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ‘ও হাসিনা আমরা আর হাসি না’। তিনি মানুষকে উত্তেজিত করতেন এবং হাসানোরও চেষ্টা করতেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও তেমন ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারে সেই প্রতিযোগিতা ছিল গত ১৫ বছরে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অচ্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতাকর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী মতের সবার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অন্যায়ের বিচার হতে হবে, না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে, অপরাধ কমবে না।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। আর এটি শেখ হাসিনার নির্দেশেই করা হয়। গত ১৫ বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে, তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই।

জামায়াত আমির বলেন, যেসব কারণে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে তা যেন পূরণ হয়। ছাত্র-জনতার দাবিগুলো সর্বাগ্রে পূরণ করা হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের মানুষকে সংগ্রাম করতে হবে না। বিনা সংগ্রামে জনগণের দাবি পূরণ করা হবে।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী জেলা আমির আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচন বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড : দুদু Jul 14, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনা ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা কিনা সন্দেহ বিএনপির Jul 14, 2025
img
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ Jul 14, 2025
img
‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’, লিটনকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি Jul 14, 2025
img
সরকারের চলা উচিত ধূমকেতুর গতিতে কিন্তু চলছে ৫০ মাইল স্পিডে : আবদুস সালাম Jul 14, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন Jul 14, 2025
img
চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সরোজা Jul 14, 2025
img
সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ৬ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের আভাস Jul 14, 2025
img
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে কানাডাকে অনুরোধ করলেন পররাষ্ট্রসচিব Jul 14, 2025
img
সিলেটে এনসিপি কমিটির ৩ নেতার পদত্যাগ Jul 14, 2025
বোরকায় মুখ ঢেকে আদালতে অপু বিশ্বাস, পেলেন জামিন Jul 14, 2025
img
২০২৯ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হতে পারে ব্রাজিলে! Jul 14, 2025
img
আটক হলেন বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাসার Jul 14, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় সামান্য আহত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান Jul 14, 2025
img
যুক্ত হওয়ার পরে বুঝতে পারি, ওই প্ল্যাটফর্ম খুবই অগোছালো: উমামা ফাতেমা Jul 14, 2025
img
সুইস বিনিয়োগকারীর আইনি পদক্ষেপের হুমকি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে Jul 14, 2025
img
বার্সেলোনার নজরে ১৭ বছরের ব্রাজিলিয়ান বিস্ময়বালক! Jul 14, 2025
img
নির্দোষ দাবি করে আদালতে ন্যায়বিচার চাইলেন নাসির ও তামিমা Jul 14, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র দরকার, সেটা সরকার করবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে : রবিউল আলম Jul 14, 2025
img
চেলসি তারকার গলা চেপে ধরার ব্যাখ্যা দিলেন কোচ এনরিকে Jul 14, 2025