গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিমি যানজট

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। যার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান জানান, শনিবার সকালে শুরু হওয়া শ্রমিকদের আন্দোলন রাতভরও চলছিল। রোববার সকালেও তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন। তিনি আরও জানান, যানজটে আটকা পড়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলাচল করছে।

জানা যায়, বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। 

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। পরে কারখানা খুললেও দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। তবে, এ বিষয়ে চেষ্টা করেও টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) নাজির আহমেদ শনিবার রাতে জানান, সকাল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ১০-১২ বার শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা দফায় দফায় আলোচনা করেছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তাদের বকেয়া বেতন আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু অতীতে মালিকপক্ষ কথা রাখেনি এমন অভিযোগ তুলে শ্রমিকেরা প্রথমে বলেছিল বেলা ২টায় অবরোধ তুলে নেবে, পরে বলেছিল বিকেল ৫টায় অবরোধ তুলে নেবে। কিন্তু তারা অবরোধ তুলে নেয়নি।

এদিকে, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধে করে একটি ট্রাফিক আপডেট দেয়া হয়েছে। ওই আপডেটে বলা হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গার্মেন্টসের শ্রমিক কর্তৃক ভোগড়া বাইপাস ও মালেকের বাড়ীর মাঝামাঝি গতকাল সকালে শুরু করা মহাসড়ক অবরোধ এখন পর্যন্ত (সকাল ৭টা) অব্যাহত আছে। তাই সম্মানিত যাত্রীদের বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বান্দরবানে সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সদস্য নিহত Jul 03, 2025
img
৬ রানে ৭ উইকেট পতনের ব্যাখ্যা দিলেন মিরাজ Jul 03, 2025
img
এশিয়ান কাপে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় শিষ্যদের প্রশংসায় বাটলার Jul 03, 2025
img
থাইল্যান্ডে ১ দিনের প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া Jul 03, 2025
img
সাবেক এমপি ও ক্রিকেটার দুর্জয় গ্রেফতার হলেন যে মামলায় Jul 03, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির পর বায়ুমানের উন্নতি, দূষণের শীর্ষে কিনশাসা Jul 03, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অর্ধশতাধিক আরোহী নিয়ে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩ জন Jul 03, 2025
img
উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, ভারতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি তারকাদের Jul 03, 2025
img
হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
ঠিকঠাক নির্বাচন হলে জনগণ আত্মবিশ্বাসী হবে : মাসুদ কামাল Jul 03, 2025
img
পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জন্য নষ্ট হয় আমিরের বিয়ে! Jul 03, 2025
img
এআইয়ের কারণে মাইক্রোসফট থেকে বাদ পড়ছে ৯ হাজার কর্মী Jul 03, 2025
img
‘হোটেলে হাঁটছিলাম, কেউ ফিরেও তাকাল না’ -আক্ষেপ অভিষেকের Jul 03, 2025
img
জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার Jul 03, 2025
img
কুয়েতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বাংলাদেশি গ্রেফতার Jul 03, 2025
img
সিইসির সঙ্গে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি প্রদান Jul 03, 2025
দশ মিনিটের সারা বিশ্বের সর্বশেষ আলোচিত খবর Jul 03, 2025
রাশিয়া/য় যু"দ্ধ করতে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া Jul 03, 2025
১০ মিনিটের সারা দেশের সব আলোচিত খবর Jul 03, 2025
আগামী এক বছরে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া Jul 03, 2025