নতুন মামলায় গ্রেপ্তার শাজাহান খান-মেননসহ ৭ জন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যায় পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেননসহ ৭ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগ নেতা কবির হোসেন এবং ডিজিএফআইয়ের রেজাউল করিম।

এর আগে, এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যাকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে-

পল্টন থানার শামীম হত্যা মামলায় শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজাউল করিম ও কবির হোসেন, আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় আহম্মদ হোসেনকে এবং মিরপুরের দুটি হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর হত্যার অভিযোগে গত ১৩ আগস্ট প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

এ ছাড়া গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, গত ২২ আগস্ট গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেনন, গত ৩ সেপ্টেম্বর চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, গত ২০ আগস্ট গুলশান থেকে আহমদ হোসেন এবং গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গোলাপকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছাত্র আন্দোলন দমাতে এবং হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেপালের প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাবিতা ভাণ্ডারি Sep 15, 2025
img
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘অশোভন আচরণে’ ক্ষুব্ধ পাকিস্তান Sep 15, 2025
img
দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 15, 2025
img

ফরিদা পারভীনের প্রয়াণ

জানি না আমার বাঁশির সুরের কী হবে : গাজী আবদুল হাকিম Sep 15, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান ১৯তম Sep 15, 2025
img
দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় Sep 15, 2025
img

‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img
এক বিড়ালই স্বরা-ফাহাদকে নিয়ে যায় বিয়ের পিঁড়িতে! Sep 15, 2025
img
ভারত থেকে ২০০ নতুন কোচ কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে Sep 15, 2025
img
ডাকসুর পর জাকসুতেও জিতল এক দম্পতি Sep 15, 2025
img
১৫ বছর বয়সে ইতিহাস গড়লেন ওয়েন কুপার Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় যান চলাচল স্বাভাবিক, রাস্তার পাশে আন্দোলনকারীদের অবস্থান Sep 15, 2025
img
টিকটক নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান, ফলাফল নির্ভর করছে চীনের ওপর: ট্রাম্প Sep 15, 2025
img
রাকসু হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন নির্বাচিত Sep 15, 2025
img
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ সেপ্টেম্বর) Sep 15, 2025
img
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ান সরকারের পদত্যাগ দাবি Sep 15, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে প্রথম রিলিজ স্লিপের ফল প্রকাশ বিকেলে Sep 15, 2025
img
ন্যাটো জোটের মতো সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চায় মিশর Sep 15, 2025
img
ইসলামি দেশগুলোকে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের Sep 15, 2025
img
বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা Sep 15, 2025