দুর্বল ব্যাংককে টাকা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা কোনো টেকসই সমাধান নয়, বরং এতে ক্ষতিতে পড়তে পারে সবল প্রতিষ্ঠানও। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে কোনো মূল্যে ফিরিয়ে আনা হবে লুটের অর্থ। যাতে সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। আদানির সাথে বকেয়ার সংকট কেটে গেছে বলেও জানান তিনি।
দেশের ব্যাংকখাতের অবস্থা যে কতোটা খারাপ তা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে নানামুখী কর্মকাণ্ডে। চাহিদামতো অর্থ পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহক, এমনকি নিজস্ব কর্মীদের মাসিক বেতনও বহু প্রতিষ্ঠান থেকে তোলা যাচ্ছে না । শুধু তাই নয় সম্প্রতি বাংলাদেশের এই ব্যবস্থাকে পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেন স্বয়ং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
দায়িত্বের তিন মাসে এই খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থ সহায়তা ও পরিচালনা বোর্ডে পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব করেও আস্থা ফেরানো যায়নি গ্রাহকদের মাঝে। কেননা অবস্থা এতোটাই খারাপ করে রাখা হয়েছিল যে, শিগগিরই উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বস্তির কোনো আভাস দিতে পারেননি অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, একীভূত কিংবা বিলুপ্ত- এসব বিষয়ে তাড়াহুড়া করতে চায় না সরকার। এ সময়, পাচারের অর্থ দেশে ফেরাতে বিশ্বব্যাংক- আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গেলো তিন মাসে আন্তর্জাতিক দায়-দেনা কমিয়ে আনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন অর্থ উপদেষ্টা। আদানীর পাওনা নিয়ে সংকট কেটে গেছে বলেও জানান তিনি।