বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেছেন, বিশ্বব্যাংক অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার (পার্টনারশিপ) হয়ে কাজ করছে। বিশ্বব্যাংক সব সময়ই তরুণদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে ‘পেইন্ট দ্য স্কাই, মেক ইট ইওরস: তারুণ্যের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তার বক্তব্যের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক।
আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তারা নতুন বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি করেছেন। প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘পেইন্ট ইওর স্কাই, মেক ইট ইওরস’–এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রতিরোধ ও আশার কথা।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে থাকা তরুণদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। আন্দোলনের পর বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। আমরা দেয়াল লেখনীর ও ছবির শক্তি দেখতে পেয়েছি। যারা এ কাজটি করেছেন তাদের সম্মান জানাই। দেয়াল লেখনীর শক্তির ফলশ্রুতিতে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ ও স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইউনিক কাজ করেছে। আজকের এক্সিবিশনে প্রকাশ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশের, নতুন স্বপ্নের। যা আমাদের ইন্সপায়ার করছে। তাদের দেয়ালচিত্র আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। এ ছবির ভিশন নতুন বাংলাদেশ, যার সীমানা আকাশে। যা আশা জাগায়, সচেতন করে।
প্রদর্শনীতে সারাদেশে ছাত্র ও তরুণদের আঁকা প্রাণবন্ত দেয়াল শিল্প দেখানো হয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ ১২টি জেলা থেকে শিল্পকর্মগুলো এসেছে।
দেয়ালে তরুণদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব ছবির সংগ্রহ দিয়ে একটি বইও প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।