গফরগাঁওয়ে যৌতুকের জন্য কিশোরী গৃহবধূকে হত্যা  

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যৌতুকের দাবিতে সাথী আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরী গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নাসিমা খাতুন নামে একজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার উপজেলার চরমছলন্দ কাঁচারী পাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত সাথী আক্তার চরমছলন্দ জিরাতি পাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নিহতের পিতা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে স্বামী শারফুল, শাশুড়ি, দেবর, ননদ-ননাসসহ ছয়জনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে চরমছলন্দ মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী আক্তারকে রাওনা ইউনিয়নের ছয় বাড়িয়া গ্রামের চানু মিয়ার ছেলে শারফুল ইসলামের (৩৫) সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় সাথী আক্তারকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার প্রদান করে তার বাবা-মা। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য শারফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা সাথীর উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। পরে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাথীর বাবা আব্দুল লতিফ কিছুদিন পূর্বে শারফুলকে এক লাখ টাকা দেন।

কিন্তু দাবিকৃত বাকি এক লাখ টাকার জন্য সাথীর ওপর নির্যাতন অব্যাহত থাকে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাথীকে নিয়ে শারফুল শ্বশুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী চরমছলন্দ কাঁচারী পাড়া গ্রামে তার ভগ্নিপতি কবিরের বাড়িতে যায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভগ্নিপতি কবিরের বাড়িতে শারফুল ও তার স্বজনরা এক লাখ টাকার জন্য পুনরায় সাথীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এসময় নির্যাতন সইতে পেরে সাথী মারা যায়। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে সাথীর বাবার বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন এবং গফরগাঁও থানায় খবর দেন।

পরে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শারফুলসহ ভগ্নিপতি কবিরের বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শারফুলের বোন নাসিমা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফরিদপুরে জেমসের কনসার্টে হামলা-ভাঙচুর Dec 27, 2025
img
কুষ্টিয়ায় পিকআপ দুর্ঘটনায় প্রান হারাল ২ Dec 27, 2025
img
সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা Dec 27, 2025
img
হলিউডের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিরিজের মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু করলেন কাজল? Dec 27, 2025
img
স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ের পরিচয়ে ‘রাজনৈতিক কর্মী’ লিখলেন তারেক রহমান Dec 27, 2025
img
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় নেতারা বাস ব্যবহার করেন কেন? Dec 27, 2025
img
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের নতুন বার্তা Dec 26, 2025
img
ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল কোথায়? Dec 26, 2025
img
বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে ভোট করবেন রাশেদ খান: নুর Dec 26, 2025
img
জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি অভিনেতা মোহাম্মদ বকরী আর নেই Dec 26, 2025
img
মেঘনায় মিলল ২৩ কেজি ওজনের কোরাল Dec 26, 2025
img
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় নেতারা কেন বাস ব্যবহার করেন? Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন Dec 26, 2025
img
চারে ব্যাটিং প্রসঙ্গে ওপেনার ইমনের মন্তব্য Dec 26, 2025
img
মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে সমালোচনার ঝড় Dec 26, 2025
img
ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ Dec 26, 2025
img
৫ লাখ সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি বিজেপি নেতার Dec 26, 2025
img
বান্দরবানে ভূমিকম্প অনুভূত Dec 26, 2025
img
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মশারি ও নৌকার প্রপেলার জব্দ, আটক ৫ Dec 26, 2025
img
সম্রাট বাহিনীর প্রধানের প্রাণহানির ঘটনায় মামলা Dec 26, 2025